ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ফিল সিমন্সকে অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত তিনি টাইগারদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। চলতি বছর টি-২০ বিশ্বকাপে সিমন্স পাপুয়া নিউগিনির ‘বিশেষজ্ঞ কোচ’ হিসেবে তিনি নিয়োগ পেয়েছিলেন।
কোচ হিসেবে সাবেক অলরাউন্ডার সিমন্স ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত একটি নাম। দুই দফায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ছিলেন তিনি, তার কোচিংয়েই ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করে ক্যারিবিয়ানরা। এর আগে-পরে মিলিয়ে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ ছিলেন তিনি, ব্যাটিং কোচ ছিলেন আফগানিস্তান দলের। এছাড়াও নানা সময়ে বিভিন্ন দলের পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে কাজ করেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় প্রধান কোচসহ নানা ভূমিকা পালন করেছেন। তার নতুন চ্যালেঞ্জ এবার বাংলাদেশে।
এদিকে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই হেড কোচকে অব্যাহতির কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সঙ্গে তাকে শোকজও করা হয়েছে। হাথুরুসিংহের বদলে ফিল সিমন্সের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরু। তবে তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যতটুকু উন্নতি দেখা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে তা দেখা যায়নি। এমনকি এই সময়ে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, বিসিবির বিধি ভঙ্গ ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
সবশেষ ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। সবকিছু বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ক্যারিবীয়দের হয়ে ১৪৩ ওয়ানডে ও ২৬ টেস্ট খেলা সিমন্স ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের কোচ হন। বছরখানেক এই দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৭-২০১৫ সাল পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে প্রায় এক বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ ছিলেন। মাঝে ২০১৭-২০১৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের হাল ধরেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় উইন্ডিজের কোচ হিসেবে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :