ইমার্জিং এশিয়া কাপে সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লংকানদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগাররা।ওমানের আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৬১ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৪২ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯ রানের ব্যবধানে হারে লাল-সবুজরা।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও সাইফ হাসান। প্রথম তিন ওভারে দুজনে যোগ করেন ৩৮ রান। তবে চতুর্থ ওভারে ২৪ রানে ইমন ফিরলে ধাক্কা খায় টাইগাররা।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। নাঈম শেখ, তাওহীদ হৃদয়দের কেউই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। শেষদিকে আবু হায়দার রনি ম্যাচের পাল্লা নিজেদের দিকে নিয়ে এলেও সফল হতে পারেননি।
অবশ্য ঈশান মালিঙ্গার করা ১৮তম ওভারের শুরুতে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত না এলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রনি। সে সময় অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে কম ফিল্ডার ভেতরে ছিল।
এ অবস্থায় নো বল ধরার বদলে আম্পায়ার ডেড বল ডাকেন। যার ফলে বিনা বলে ৭ রান হারায় বাংলাদেশ। ফ্রি হিটও পাওয়া যায়নি। মূলত সেখানেই ম্যাচের মোমেন্টাম থেকে ছিটকে যায় টাইগাররা। রনি ২৩ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। তবে ৩ রানের বেশি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলংকার হয়ে দুশান হেমন্থ তিনটি এবং নিমেশ, মালিঙ্গা, রমেশ ও নিপুন একটি করে উইকেট নেন।এর আগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা ‘এ’ দল। উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার যশোদা লংকা ও লাহিরু উদানা। সাজঘরে ফেরার আগে যথাক্রমে ২৩ ও ৩৫ রান করেন তারা।
তিনে নেমে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি লংকান অধিনায়ক নুয়ানিদু ফার্নান্দো। ৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন সাহান আরাচ্চিগে ও পবন রথনায়েকে। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৬৪ রানের জুটি।
২৬ বলে ৪২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন পবন। শেষদিকে সাহান ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে রেজাউর রহমান রাজা ও রিপন মন্ডল দুটি এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও সাইফ হাসান একটি করে উইকেট নেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :