আলোচিত বল টেম্পারিং কাণ্ডে জড়িত থাকা প্রমাণিত হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। নিজ দেশের ক্রিকেটে জাতীয় দল, ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আরকখনো অধিনায়ক হতে পারবেন না, এমন নিষেধাজ্ঞাও তিনি পেয়েছিলেন। অবশেষে সেই আজীবন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন ৩৭ বর্ষী ক্রিকেটার।
২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনার সাড়ে ৬ বছর পর ওয়ার্নার নিষেধাজ্ঞার শৃঙ্খলমুক্ত হলেন। যার ফলে আসন্ন বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারের অধিনায়কত্বে তার আর কোনো বাধা রইল না। শুক্রবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কন্ডাক্ট কমিশনের পর্যালোচনার ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিবৃতিতে সিএ জানিয়েছে, প্যানেল পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছে ওয়ার্নার ‘সম্মানজনক ও অনুশোচনাপূর্ণ’ আচরণ করেছেন। তিনি নিজের আচরণের জন্য দায়িত্ব স্বীকার করার ক্ষেত্রে আন্তরিক এবং সৎ ছিলেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনে ওয়ার্নার রেফারেন্স হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, সাবেক ক্রিকেটার গ্রেগ চ্যাপেল ও লিসা স্থালেকার এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের নাম উল্লেখ করেন। তারা প্রত্যেকেই ওয়ার্নারকে সমর্থন জানান।
ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় আনন্দিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। তিনি বলেন, আমি সন্তুষ্ট যে ডেভিড তার নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করার পথ বেছে নিয়েছেন এবং এই গ্রীষ্মে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে নেতৃত্বের পদ গ্রহণের যোগ্য হবেন।’
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে ওয়ার্নারকে বিশ্বজুড়ে অধিনায়কত্বের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জুনে টি-২০ বিশ্বকাপের পর সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার আগে তিনি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ দলের অধিনায়কত্বের সুযোগ পাওয়ার আশা করেছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :