নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ হারের জন্য শুধুমাত্র ব্যাটারদের ঘাড়ে দোষ চাপালেন না গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় দলের হেড কোচের মতে, ভারত যে কিউয়িদের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি টেস্টে হেরে গিয়েছে, সেটার জন্য প্রত্যেকেরই দায় আছে। ব্যাটার থেকে শুরু করে বোলার- প্রত্যেক খেলোয়াড়ই দায়ি বলে দাবি করেন গম্ভীর। ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগেরদিন সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় দলের হেড কোচ বলেন, ‘প্রত্যেকের দায় আছে। আমি এটা বলতে পারি না যে শুধুমাত্র ব্যাটাররা আমাদের ডুবিয়েছে।’
গম্ভীর মুখে সেই কথা বললেও ১২ বছর পরে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারের পরে যে পরিসংখ্যান উঠে আসছে, তা মোটেও ব্যাটারদের পক্ষে যাচ্ছে না। বেঙ্গালুরু এবং পুণে মিলিয়ে ভারত যে চারটি ইনিংসে ব্যাট করেছে, তার মধ্যে একটিতে ৪৬ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছে। পুণেতে ১৫৬ রান এবং ২৪৫ রান করেছে। একমাত্র বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০০ রানের গণ্ডি পার করেছে। ৪০২ রান তোলে ভারত। কিন্তু সেখানেও ৫৪ রানের মধ্যে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল।
আর সেই বিপর্যয়ের কারণে বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে আট উইকেটে হেরে গিয়েছে ভারত। আর পুণেতে দ্বিতীয় টেস্টে ১১৩ রানের মুখে পড়তে হয়েছে। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে ওয়াংখেড়েতে ভারত নামছে। সেইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে যে ধাক্কা খেয়েছে ভারত, সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।
কিন্তু ভারতীয় দল এটা ভুলতে পারছে না যে ঘরের মাঠে ১২ বছর পরে টেস্ট সিরিজ হেরে গিয়েছে। আর ভারত যে সেই ধাক্কাটা ভুলতে চায় না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন গম্ভীর। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, `আমি এটা মোটেও লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব না যে (এই সিরিজ হারটা) আমাদের বুকে বিঁধছে। এটা বুকে বিঁধে থাকাই উচিত। সেটাই আমাদের ভালো হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। তাতে ভুলের কী আছে?`
সেই সঙ্গে ভারতীয় দলের হেড কোচ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এটাই তরুণদের আরও ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের যদি কানপুরের মতো ফল আসে, তাহলে এরকমও ফলাফল আসবে। আর সেটা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’
গম্ভীরের মতে, যত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা হবে, তত ডিফেন্সের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন ব্যাটাররা। আর যে ব্যাটারদের ডিফেন্স ভালো, তাঁরা সব ফর্ম্যাটের সফল হন বলে দাবি করেন গম্ভীর। আর সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে বড় রান তুলতে হবে, সেটা ব্যাখ্যা করে ভারতীয় দলের হেড কোচ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটটা খেলতে হবে টেস্ট ক্রিকেটের মতো। আমরা যদি পারি, তাহলে একদিনেই আমাদের ৪০০ রান তুলতে হবে। আমার মতে, সেশন ধরে-ধরে খেলার ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সাড়ে চারটি সেশনে খেলি, তাহলে আমরা প্রচুর রান তুলতে পারব।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :