ভারতের বিরুদ্ধে গত টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন জোস বাটলার। ফিট ছিলেন না, তাই বেশ কয়েকটি সিরিজে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ সিরিজে কামব্যাক করেন বাটলার। প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে স্বমহিমায় দেখা যায় ব্রিটিশ দলনায়ককে।
ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে বিধ্বংসী হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাটলার। অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় ইংল্যান্ডকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেন তিনি। বাটলার ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪৫ বলে ৮৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা।
ইনিংসে বাটলারের ৬টি ছক্কাই ছিল দৃষ্টিনন্দন। তবে এর মধ্যে একটি ছক্কায় তিনি বল পাঠিয়ে দেন স্টেডিয়ামের বাইরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ মিটারের ছক্কা হাঁকানোই উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে বাটলার এই ম্যাচে একটি ছক্কায় বল পাঠিয়ে দেন ১১৫ মিটার দূরে। স্বাভাবিকভাবেই বাটলারের সেই ছক্কাকে দৈত্যাকার বলা মোটেও ভুল হবে না।
ব্রিজটাউনে দ্বিতীয় ইনিংসের নবম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল করতে আসেন গুড়াকেশ মোতি। ৮.৩ ওভারে মোতির ডেলিভারিতে স্টেপ-আউট করে লং-অনে বিশাল ছক্কা মারেন বাটলার। বল চলে যায় গ্যালারির ছাদ টপকে স্টেডিয়ামের বাইরে।
ব্রিজটাউনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৩ রান করেন ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল। তিনি ৪১ বলের সতর্ক ইনিংসে ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ড্যান মাউসলি, লিয়াম লিভিংস্টোন ও সাকিব মাহমুদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৪.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৩১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। সেই সুবাদে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ লিড নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচ জেতানো ইনিংসের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ব্রিটিশ দলনায়ক জোস বাটলার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :