জ্যামাইকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। আর ৭০ রান তুলে দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব মিলিয়ে পুরো দিনেই রান হয়েছে মাত্র ১৬৫।
এই ম্যাচে ১৬ ওভার বল করে ৪ উইকেট শিকার ও ১০টি মেইডেন দিয়েছেন জেইডেন সেইলস। আর খরচ করেছেন মাত্র ৫ রান। যার ফলে শতাব্দীর সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার।
প্রথম দিনে সেইলস বল করেছিলেন মোট সাত ওভার। তার মাঝে মেইডেন দিয়েছেন ৬টি। দ্বিতীয় দিনে এসে করেছেন ৮.৫ ওভার। তাতে ৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছিলেন সেইলস। আর শেষে এসে তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানাকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন তিনি।
সবমিলিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে সেইলসের বোলিং ইকোনমি ছিল শূন্য দশমিক তিন এক ছয়। একবিংশ শতাব্দীর টেস্টে এক ইনিংসে এটাই সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং।
এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন উমেশ ইয়াদাভ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ ওভারের স্পেলে তার ইকোনমি ছিল শূন্য দশমিক চার দুই নয়। তবে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে অবশ্য সেইলসের এই বোলিং ফিগার বেশ পিছিয়েই আছে। এই তালিকায় স্থানটা দখল করে আছেন ভারতের স্পিনার রমেশচন্দ্র নাদকার্নি।
১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভার প্রতি মাত্র শূন্য দশমিক এক পাঁচ রান দিয়েছিলেন এই ভারতীয়। ৩২ ওভার বল করে মেইডেন নিয়েছিলেন ২৭ টিতে। রান দিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ।
দুইয়ে রয়েছেন সেইলসেরই দেশের কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১৪ ওভার বল করে ১১ ওভারেই রেখেছিলেন মেইডেন। আর তালিকার তিনেও আছেন নাদকার্নি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :