জ্যামাইকায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০১ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে গ্রেনাডা টেস্টের পর ক্যারিবীয়দের মাটিতে সাদা পোশাকে জয় পেতে সফরকারীদের অবসান হয়েছে দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষা। মেহেদী মিরাজের নেতৃত্বে টাইগাররা ১-১ ব্যবধানের সমতায় শেষ করেছে সিরিজ। এমন স্মরণীয় জয়ের পর টাইগাররা পেয়েছে সুখবর।
আইসিসির হালনাগাদকৃত সর্বশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে একধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ১২ খেলায় ৪ জয়ে পেয়েছে ৪৫ পয়েন্ট। দলটির শতকরা পয়েন্ট ৩১.২৫ শতাংশ। জ্যামাইকা টেস্টে টাইগাররা জয়ের ফলে টেবিলের তলানি থেকে উঠে ২০২৩-২৫ চক্রে অষ্টম স্থানে এসেছে।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্ট হারায় টেবিলের তলানিতে চলে গেছে উইন্ডিজ। ১১ খেলায় ২ জয় ও ২ ড্রয়ে দলটি ৩২ পয়েন্টে রয়েছে। ক্যাবিরীয়দের পকেটে শতকরা ২৪.২৪ পয়েন্ট।
টেবিলের শীর্ষে থাকা ভারতের শতকরা পয়েন্ট ৬১.১১ শতাংশ। ১৫ খেলায় ৯ জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১১০। দ্বিতীয় স্থানটি দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। প্রোটিয়ারা ৯ ম্যাচে ৫ জয় ও এক ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্টসহ শতকরা ৫৯.২৬ শতাংশ পয়েন্টে রয়েছে।
তিন নম্বরে নেমে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া ১৩ ম্যাচে ৮ জয় ও এক ড্রয়ে ঝুলিতে ভরেছে ৯০ পয়েন্ট। অজিদের শতকরা পয়েন্ট ৫৭.৬৯ শতাংশ। শ্রীলংকা ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ৬০ পয়েন্টসহ শতকরা ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে
আছে ৪ নম্বরে।
ক্রাইস্টচার্চে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা এবার পেয়েছে দুঃসংবাদ। স্লো ওভার-রেটের জন্য দলটির কাটা হয়েছে ৩ পয়েন্ট। যার ফলে কিউইরা টেবিলের চতুর্থ থেকে পঞ্চম স্থানে নেমেছে। তাতে আগামী বছর ফাইনালে তাদের যাওয়ার সম্ভাবনায় এখন প্রবল অনিশ্চিত অবস্থায় পড়েছে।
জয় পাওয়া ইংল্যান্ডেরও কাটা গেছে ৩ পয়েন্ট। দুই দলের সকল খেলোয়াড়ের উপর ধার্য হয়েছে ম্যাচ ফির উপর শতকরা ১৫ শতাংশ জরিমানা। নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে উভয় দলই ৩ ওভার পিছিয়ে ছিল। দুই দলের অধিনায়ক টম ল্যাথাম এবং বেন স্টোকস অভিযোগ মেনে নেন। পরে ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন শাস্তি আরোপ করেন।
১২ ম্যাচে ৬ জয়ে নিউজিল্যান্ডের ঝুলিতে এখন ৬৯ পয়েন্ট। ব্ল্যাক ক্যাপসদের শতকরা পয়েন্ট ৪৭.৯২ শতাংশ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ জিতে তারা সেটিকে ৫৫.৩৬ শতাংশ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জেতার পর ক্রাইস্টচার্চে বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিয়ে কিউইরা পায় হারের স্বাদ। এটি তাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার বাস্তবসম্মত সুযোগ আপাতত নষ্ট করেছে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২৫ চক্রে ফাইনালের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া ইংলিশরা ৪২.৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ২০ ম্যাচে ১০ জয় ও এক ড্রয়ে তারা ১০২ পয়েন্ট পেয়েছে। পাকিস্তান রয়েছে সাত নম্বরে। ১০ খেলায় ৪ জয় ও ৬ পরাজয়ে তাদের পয়েন্ট ৪০। দলটির শতকরা পয়েন্ট ৩৩.৩৩ শতাংশ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :