বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার জন্য ফিফার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছেন হামজা চৌধুরী। ফুটবল অঙ্গনে এমন সংবাদ যেন এনে দিয়েছে আনন্দের জোয়ার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।হামজা যুক্ত হলেও প্রবাসী আরও ফুটবলারকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে যোগ করতে কাজ করছে বাফুফে।
ফিফা থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়ার পর শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন।
বাফুফে সভাপতি বলেন, হামজার পাশাপাশি বাফুফে আরও প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে কাজ করছে। তাদেরও সুযোগ দিতে চায় বাফুফে,` আশা করছি হামজা চৌধুরীর মতো অন্য প্রবাসী যারা খেলছেন, তাদের আরও চিহ্নিত করে বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারবো। বাফুফে চেষ্টা করবে খেলোয়াড়দের নিয়ে নানান তথ্য দিতে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের অনেক মেধা আছে। দেশের বাইরে, ইতালিয়ান, জার্মানি কিংবা দক্ষিণ আমেরিকান যারাই আছেন– আমি বিশ্বাস করি হামজা তাদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলার জন্য।’
ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান অধিনায়ক। তার কথা টেনে নতুন সভাপতি বলেন,` সকল কিছুরই একটা ধারাবাহিকতা থাকে। এক দশক আগে জামালের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এর ফলে এখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার বাংলাদেশ দলে। সামনে হয়তো বাংলাদেশের কেউ বড় কোনো লিগে খেলার সুযোগ পাবে।’
২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। লাল-সবুজের জার্সিতে সেই ম্যাচেই হামজাকে পাওয়া যাবে কিনা এই প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, ‘কোনও তথ্য আপাতত নেই। এখনও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না। তবে এএফসি এশিয়ান কাপ নিয়ে আমরা প্ল্যানিং করছি। এর আগে বাংলাদেশের প্রীতি ম্যাচ ক্লোজড ডোর হবে। ভিডিও বা অন্য কিছুর জন্য বাইরের কাউকে অ্যালাউ করতে দেবো না। এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব থেকে একটি দল যাবে গ্রুপ সেরা হয়ে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রথম ম্যাচ ভালো করতে পারলে গ্রুপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার সুযোগ থাকবে।’
প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে জাতীয় দলের শক্তি বাড়ানোর চাইতে জয়ের দিকেই নজর দিচ্ছেন তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেন,` এটা অবশ্যই ব্রান্ডিংয়ের সুযোগ রয়েছে। তবে আমরা এখনই এটা নিয়ে ভাবছি না। আমরা চাই বাংলাদেশ জাতীয় দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিত জিতুক। কম গোলে হারা, ড্র করা এই প্রবণতা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। `
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান কোচের চুক্তি প্রায় শেষের দিকে। নতুন কোচ সম্পর্কে সভাপতি বলেন, ‘১ জানুয়ারি থেকে নতুন মৌসুমের কোচ নিয়ে কথা বলবো। জাতীয় দল কমিটি কোচের পারফরম্যান্স, খেলার মূল্যায়ন-পারিপার্শ্বিকতা সব কিছু মূল্যায়ন করেই সিদ্ধান্ত নেবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :