অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য ৫৯ শতাংশ লোকবল কমিয়েছে ক্রিকেট শ্রীলংকা (এসএলসি)। বোর্ডের সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে এসেছে এমন বড় পরিবর্তন। গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এসএলসির সাধারণ সভার সময় ভোটদানকারীদের অধিকাংশই বোর্ডের আকার কমাতে নিজেদের মতামতের প্রতিফলন ঘটান। এদিন গঠনতন্ত্রে উল্লেখযোগ্য সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে। সুশাসন, স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তি এবং এসবের ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিতে বোর্ডের এমন পদক্ষেপ।
শ্রীলংকা ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর এসএলসির বর্তমান গঠনতন্ত্র তৈরি হয়েছিল। দেশটির ক্রিকেটে অকার্যকরিতার বড় প্রমাণ হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে গঠনতন্ত্রটি ছিল ব্যাপক সমালোচিত। বোর্ডের ১৪৭ সদস্যের অনেকেই অকার্যকর ক্লাব বা অকার্যকর জেলা ও প্রাদেশিক অ্যাসোসিয়েশনগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভোটের পর তা কমে এখন ৬০ জনে দাঁড়াবে।
ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকায় ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য ভোটের মাধ্যমে বোর্ডের সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো সুশাসনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
একবিংশ শতাব্দীতে ক্রিকেট শ্রীলংকাকে দ্বীপ দেশটির সবচেয়ে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত। সেই সঙ্গে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগও যথেষ্ট পরিমাণে ছিল বলে অভিযোগ।
দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বেশ কয়েকজন, সাবেক ক্রিকেটার এবং এসএলসির অন্তর্বর্তী প্রধানরা দীর্ঘদিন ধরে গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, সাবেক খেলোয়াড়সহ সংশ্লিষ্টরা ২০২১ সালের প্রথম দিকে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য শ্রীলংকার আদালতে আবেদন করেছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :