গত আইপিএল মৌসুমে কেকেআরের জার্সিতে আবির্ভাবেই নজর কাড়েন অংকৃষ রঘুবংশী। যদিও কম্বিনেশনের স্বার্থে সব ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি তিনি।মুম্বাইয়ের তরুণ তুর্কির জন্যই নীতীশ রানার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই মনে হয়েছে নাইট রাইডার্স শিবিরের। সেই কারণেই এবছর রিটেন করতে না পারলেও নিলাম থেকে রঘুবংশীকে দলে ফেরায় কলকাতা।
কেকেআর যে তাঁরে পুনরায় দলে নিয়ে ভুল করেনি, সেটা বুঝিয়ে দিলেন অংকৃষ। অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে বিধ্বংসী মেজাজে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। যার ফলে ৫০ ওভারের ম্যাচ মাত্র ৫.৩ ওভারেই জিতে যায় মুম্বই।
বৃহস্পতিবার আমদাবাদে বিজয় হাজারে ট্রফির সি-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে মুম্বই ও অরুণাচলপ্রদেশ। গুজরাট কলেজ গ্রাউন্ডে টস জিতে শুরুতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই। দুর্বল দলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে মাঠে নামেননি শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর পরিবর্তে মুম্বাইকে নেতৃত্ব দেন শার্দুল ঠাকুর।
অরুণাচলপ্রদেশ ৩২.২ ওভারে মাত্র ৭৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইয়াব নিয়া দলের হয়ে সব থেকে বেশি ১৭ রান সংগ্রহ করেন। ১০ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার মারেন। এছাড়া ৪৮ বলে ১৩ রান করেন ওপেনার তেচি দরিয়া। তিনি ১টি চার মারেন। মুম্বাই বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। মুম্বাই ১১ রান উপহার দেয় অতিরিক্ত হিসেবে।
মুম্বাইয়ের হয়ে ৩ ওভারে ৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ৬ ওভারে ১১ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন হর্ষ তান্না। ১০ ওভারে ১০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন হিমাংশু সিং। ৫ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন অথর্ব আঙ্কোলেকর। রয়স্টোন ডায়াস ও সূর্যাংশ শেজ ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই মাত্র ৫.৩ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৭৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২৬৭ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ওপেন করতে নেমে অংকৃষ রঘুবংশী মাত্র ১৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
১১ বলে ১৫ রান করেন আয়ুষ মাত্রে। তিনি ৩টি চার মারেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ বলে ৭ রান করে নট-আউট থাকেন হার্জিক তামোরে। অভিনব সিং ১ ওভারে ১০ রান খরচ করে অরুণাচলের হয়ে একমাত্র উইকেটটি দখল করেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :