ক্রিকেট কিংবা বিপিএলের খুব উৎসাহী দর্শকদের মাঝে টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন চেপে বসেছে হতাশা। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবশেষ আসর এনসিএল টি-টোয়েন্টি খানিক আশার আলো দেখালেও বিপিএল রয়ে গিয়েছে তার পুরাতন চেহারায়। আসরের সবশেষ দল হিসেবে আজ অনুশীলনে যোগ দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। আসতে শুরু করেছেন বিদেশি ক্রিকেটাররাও।
শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনেও ভিড় জমেছে দর্শকদের। কিন্তু রাত পোহালেই শুরু যে টুর্নামেন্টের, সেখানকার অধিনায়কদেরই খোঁজ নেই। বিপিএলে অংশ নিচ্ছে সাত দল। যার মধ্যে নিজেদের অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে মোটে ৩ ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন পর্যন্ত নিজেদের অধিনায়কের নামই জানায়নি চার ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ফরচুন বরিশালকে গত আসরে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এই আসরেও তামিমই দলের সবচেয়ে বড় আস্থা ও ভরসা। অধিনায়কের দায়িত্বটা আছে তারই কাঁধে। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। গত আসরেও ছিলেন অধিনায়ক। কিছুদিন আগেই ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে দলকে জিতিয়েছেন গ্লোবাল সুপার লিগ। এর বাইরে নিজেদের অধিনায়কের নাম জানিয়েছে কেবল ঢাকা ক্যাপিটালস ও দুর্বার রাজশাহী।
রোববার দুপুরে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ঘোষণা দিয়ে তারা জানায়, শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা এই আসরে দলের অধিনায়কের ভূমিকায় থাকছেন। এর বাইরে রাজশাহী নিজেদের অধিনায়ক হিসেবে তাসকিন আহমেদের নাম সামনে এনেছে। এর বাইরে সন্ধ্যার আগে নিজেদের অধিনায়কের নাম জানিয়েছে চিটাগাং কিংস। বন্দরনগরীর দলের অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
এর বাইরে বাকি দুই দল সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং খুলনা টাইগার্সের অধিনায়কদের নামের জন্য অপেক্ষা হয়ত করতে হবে একেবারেই শেষ পর্যন্ত। আর অধিনায়কই যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে ক্যাপ্টেন্স ডে কিংবা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন আয়োজনের চিন্তাটাই হয়ত একপ্রকার বিলাসিতা। এনসিএল টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন্স ডে দেখে তাই কিছুটা আশা জাগলেও দিনশেষে বিপিএলের আগে চিরায়ত হতাশাই ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গী।
অধিনায়কের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয় কারা আসছেন আম্পায়ার হিসেবে। মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসর নেয়া অভিজ্ঞ আম্পায়ার মারাইয়াস এরাসমাসের কথা শোনা গেলেও সেসব জোরালো কোনো খবর এনে দিতে পারেনি। এমনকি আসর শুরুর একদিন বাকি থাকলেও প্লেয়িং জার্সিটাই সামনে আনতে পারেনি ৫ ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বাস্তবতা মেনে নিয়েই হয়ত ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা হতাশ সুরেই বললেন, কনসার্ট ছাড়া এবারের বিপিএলে নতুন কিছু দেখেননি তিনি, ‘আমি সত্যি কথা বলতে অন্যরকম কিছু দেখি না কনসার্ট ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, আমাদের ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :