বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটির বড় আয়োজন এই বিপিএল। তবে বিপিএলের ১১তম আসর শুরুর আগে টিকিট নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন দর্শকরা। মিরপুরে সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেয় বিসিবি।
বেলা ১১টা নাগাদ মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন দর্শকরা। টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই উপচে পড়া ভিড় ছিল বুথগুলোতে। আর টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন বা আসর শুরুর প্রথম দিনে টিকিট নিয়ে ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনাও।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে টিকিট না পেয়ে হতাশায় পড়ে দর্শকরা। অনেকে এর জন্য অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন। এক পর্যায়ে কিছু দর্শক ব্যানার ফেস্টুন ভাঙা শুরু করেন, মুহূর্তেই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
পরবর্তীতে শের-ই-বাংলার প্রধান ফটকেও ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ দর্শকরা। কয়েকটি লোহার গেট ভেঙে ফেলেন তারা। এ সময় খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে দেন বিক্ষুব্ধরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চার্জ করতে দেখা যায় পুলিশকে।
এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘টিকিটে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আমরা অনলাইনে গেছি প্রথম দিকে। আপনাদের সবার উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই, যেকোনো নতুন সিস্টেমেই একটু ত্রুটি থাকবেই শুরুতে। একটু ধৈর্য ধরবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না কেউ। সাতটা দিন পর এটা সবাই বুঝতে পারবেন, সবাই ফল ভোগ করবে।’
‘আমাদের আরেকটা জিনিস মনে রাখতে হবে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে স্টেডিয়ামে ধারণ ক্ষমতা ২২-২৫ হাজার। এখানে সবাইকে একুমেডেট করা সম্ভব না। আপনারা সবাই অনলাইনে যারা টিকিট পাবেন, লাইন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে যাবেন। আমরা এরকম বাংলাদেশই চাই।’-যোগ করেন ফারুক।
বিপিএলে নতুনত্ব নিয়ে ফারুক বলেন, ‘খেলা মাঠে গড়াক। আমি চাই যে খেলা ঠিক মতো হোক। যেটা আসল জিনিস। তার আগে কিছু করার চেষ্টা করেছি নতুন বাংলাদেশে আমরা, আশা করি এটা আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো এই বিপিএলের মাধ্যমে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :