বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে মিরপুর স্টেডিয়ামে ব্যাটিং তান্ডব দেখেছে দর্শকরা। এদিন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটিংটা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে খুলনাকে এনে দিলেন ২০৩ রানের বিশাল সংগ্রহ।মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ১৮ বলে ফিফটি করে গড়েছেন রেকর্ড।
দলের হাল ধরার আগেই শূন্য রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরার কথা ছিল তার। অফ স্পিনার আলিস আল ইসলামের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউয়ের আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। জীবন পেয়ে পরের ওভারে শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে আগ্রাসী ইনিংসের শুরুটা করেন।
তবে নিজের ১২ রানেই থেমে যেতে পারত অঙ্কনের ইনিংস। শামীমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লং অফে তা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয়বার জীবন পেয়ে শরীফুল ইসলামের ওপর ঝড় বইয়ে দিলেন তিনি। ১৭তম ওভারের প্রথম দুই বলে টানা ছক্কা হাঁকান।
এরপর পঞ্চম বলে আরেকটি ছক্কা হাঁকান। এভাবে একর পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটিটা তুলে নিলেন ১৮ বলে। শেষ পর্যন্ত যখন ইনিংস শেষ হলো তার নামের পাশে ৫৯ রান। সেটিও মাত্র ২২ বলে। ২৬৮.১৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ৬টি। আর চার মাত্র ১টি। বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
মাহিদুল কেড়েছেন রনি তালুকদারের রেকর্ড। ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে রংপুর রাইডার্সের হয়ে মিরপুরের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ১৯ বলে ৫০ ছুঁয়েছিলেন রনি।
বিপিএল ছাড়াও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম ফিফটি রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন মাহিদুল। ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ বলে ফিফটি করেছিলেন লিটন দাস।
মাহিদুল ছাড়াও বিপিএলে ১৮ বলে ফিফটি আছে দুজনের। ২০২২ সালে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উইল জ্যাকস। আর ২০২৩ সালে ঢাকা ডমিনিটরসের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের খুশদিল শাহ।
দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মাত্র ২২ বলে ৫৯ রান তুলে দলকে ২০০ এর ওপারে নিতে সহায়তা করেন অঙ্কন। আর তাতে ম্যাচ সেরার খেতাবও পান তিনিই।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :