প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে ইতিহাস তৈরি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩-২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম দল হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা জায়গা করতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিতর্কের কারণটা হল, দক্ষিণ আফ্রিকা বাকি অনেকগুলো দলের থেকেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ কম খেলেছে, শুধু তাই নয়, বলা হচ্ছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে তো দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৩-২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেনি। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে।
সমালোচকরা কোন অভিযোগটা করছেন? ২০২৩-২০২৫ চক্রে মাত্র ১১টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। একই সময়ে ইংল্যান্ডকে খেলতে হয়েছে ২২টি টেস্ট। ভারত খেলেছে ১৮টি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ১৬টি টেস্টে। নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ দলও ২০২৩-২০২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছে। নিউজিল্যান্ড ১৪টি এবং বাংলাদেশ ১২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। চলতি চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও খেলতে নামেননি। এরপরেই সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন।
চলতি বৃত্তে দক্ষিণ আফ্রিকা বিদেশে খেলতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হারতে হয়েছিল ০-২ ফলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১-০ এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজি জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের সঙ্গে ১-১ সিরিজ ড্র করেছিল। শ্রীলঙ্কাকে ২-০ হারিয়েছিল। পাকিস্তানকে সিরিজের প্রথম টেস্টে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করেছে।
এরপরে মাইকেল ভন বলেন যে একটি দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে না খেলেই ফাইনাল খেলবে, এটা কী করে হয়। এবার এই বিষয় নিয়ে উত্তর দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ। শুকরি কনরাড বলেন, ‘আমি এই জিনিসটি কিনে আনিনি, কাউকে না কাউকে হারিয়ে তবেই তো এই জায়গায় এসেছি।’ শুকরি কনরাড বলেছেন, ‘অনেকেই বলছেন আমরা নাকি সহজ ম্যাচ পেয়েছি আর তাই ফাইনালে উঠেছি। এর জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করব না। পরের বছর লর্ডসে যে আমরা খেলতে নামব, এটা ভেবেই আমি রোমাঞ্চিত।’
২০২৩-২০২৫ বৃত্তে সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডকে। একে অপরের সঙ্গে পাঁচ টেস্টের সিরিজ় খেলতে হয়েছে তাদের। নিউজ়িল্যান্ড এবং পাকিস্তান দু’টি তিন ম্যাচের সিরিজ় খেলার সুযোগ পেয়েছে এই বৃত্তে। যদিও এই বিতর্ক ওড়াচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ। এই বিতর্কে কেভিন পিটারসেন জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড তো আর সূচি বানায়নি। তাই ওদের সমালোচনা করা অনুচিত।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :