সিডনিতে ভারতীয় দল লড়ছে। আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। জোড়া ওপেনার অল্প রানে সাজঘরে ফেরার পর তিন নম্বরে আসা শুভমন গিল এবং চার নম্বরে আসা বিরাট কোহলিও ব্যর্থ। গিল করলেন ২০ রান আর বিরাট কোহলি নিজের চেনা স্টাইলে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হলেন ১৭ রানের মাথায়।
ভারতীয় দলের নিশ্চিত বিপর্যয় রক্ষা করলেন ঋষভ পন্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজা। পন্ত ৪০ রানে আউট হলেন শেষ পর্যন্ত। বুক চিতিয়ে লড়লেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের দ্রুত গতির বোলিংয়ের বিরুদ্ধে। চোটও পেলেন। ফিজিও এসে শুশ্রুষাও করল পন্তের, তবু তিনি সামনে থেকেই লড়লেন। আর তিনি আউট হতেই ফের লকগেট খুলে গেল, পরেই সাজঘরে ফিরলেন নীতীশ রেড্ডিও। রবীন্দ্র জাদেজা হয়ত পন্তের মতো দ্রুত গতির ইনিংস খেলার চেষ্টা করেননি। কিন্তু তিনি উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যান।
এদিকে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুবার বেশ খারাপভাবেই চোট পেলেন ঋষভ পন্ত। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সরা গতবারের সিরিজে হনুমা বিহারি, চেতেশ্বর পূজারাদের চোটে চোটে জর্জরিত করে দিয়েছিলেন। সিডনিতেও বডি লেন্থ বলে একাধিকবার চোট পেলেন ঋষভ পন্ত, তবে ভয়ে পেয়ে যাওয়া না। পরে নিজের স্টাইলেই অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ছয় মেরে জবাব দিলেন তিনি।
ভারতীয় ইনিংসের ৩৫তম ওভারে মিচেল স্টার্কের জোরালো বল এসে লাগে ঋষভ পন্তের বাঁহাতে। বাইসেপের কাছে কালশিটে পড়ে যায়। বোঝা যাচ্ছিল, সজোরে আসা বল লেগে রক্ত জমাট বেঁধেছে তাঁর হাতে। ব্যথা পেলেও পন্ত অতটা দেখাচ্ছিলেন না। তবে ক্যামেরায় পরিষ্কার ধরা পড়ছিল সেই চোটের ছবি।
এর কয়েক বলের মধ্যেই ফের একবার চোট পান পন্ত। এবারও বোলার সেই মিচেল স্টার্কই। শট বল ঋষভ পন্ত খেলতে চেষ্টা করলেও তা কানেক্ট হয়নি। সরাসরি এসে লাগে হেলমেট এবং ঘাড়ে। আর তাতেই বেশ যন্ত্রণা অনুভব করেন ভারতের বাঁহাতি ব্যাটার। দ্রুত টিম ফিজিও মাঠে গিয়ে পন্তের চোটের জায়গায় আইসপ্যাক দেন। স্টার্কও এগিয়ে এসে কথা বলে পন্তের থেকে জানতে চান, তিনি ঠিক আছেন কিনা।
অবশ্য পরপর দুবার স্টার্কের বলে চোট পেলেও পন্ত কিন্তু থেমে থাকার পাত্র নয়। জবাব দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। ৪৬তম ওভারে বিউ ওয়েবস্টার বোলিং করতে আসলেই তাঁকে স্টেপ আউট করে লং অনের ওপর থেকে বিশাল ছয় মারেন পন্ত। যা গিয়ে লাগে সাইট স্ক্রিনে। এরপর মই বেয়ে উঠে গ্রাউন্ড স্টাফদের বল নিচে নামাতে হয়।
ঋষভ পন্তকে নিয়ে অনেক সমালোচনাই হয়েছে বিগত কয়েকদিনে। তাঁর পারফরমেন্স যেমন ছিল আতস কাঁচের নিচে। তেমনই দলের খারাপ সময় তাঁর টেম্পারমেন্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সিডনি টেস্টে অবশ্য পন্ত চেষ্টা করলেন সব ভুল ত্রুটি শুধরে নিয়ে ভালো ইনিংস খেলার। যদিও বড় রান এদিনও এল না তাঁর ব্যাট থেকে। করলেন ৯৮ বলে ৪০ রান, স্কট বোল্যান্ডের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ধরা দিলেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :