ঢাকা ক্যাপিটালস ড্রাফটে সাব্বির রহমানকে দলে ভেড়ালেও বিপিএলের চলতি আসরে তাকে একটি ম্যাচেও খেলানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পাশের আউটার স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সাব্বিরকে শৃঙ্খলাজনিত কারণে খেলানো হয়নি বলেই সাংবাদিকদের জানান সুজন। এটি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপই ছিল।
ঢাকার কোচ বলেন, ‘সাব্বিরকে আমরা খেলাতে পারিনি কম্বিনেশনের কারণে। এছাড়াও কিছু অন্য ইস্যু ছিল। অনেকেই হয়তো বলেছেন ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে। ভেতরের অনেক কিছু অনেকে জানে না বলে হয়তো মন্তব্য করে দেওয়াটা অনেক সহজ। এখানে আমার হাত ছিল না। অধিনায়কও ছিল দলে, তারও বলার থাকে অনেক কিছু।’
‘ট্রেনিংয়ের ব্যাপারগুলো থাকে, যেগুলো আমরা বলতে পারি না অনেক কিছু। হ্যাঁ, ট্রেনিংয়ে সাব্বির অনুপস্থিত ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের মাঝে যে অনুশীলনে আসেনি। টিম ডিসিপ্লিনের ব্যাপারও ছিল, এই কারণেই তাকে খেলানো হয়নি, বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচটি, যেটি ছিল ২ তারিখে। ওই ম্যাচটি খেলানো হয়নি ১ তারিখে অনুশীলনে না আসার জন্য। এটা পুরোপুরি শৃঙ্খলাজনিত কারণ। ’
আগামীকাল রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ থেকে সাব্বিরের খেলার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালস কোচ। তার ভাষ্য, ‘সাব্বির ভালো ক্রিকেটার। আশা করি, কালকের ম্যাচ থেকে ওকে খেলাতে পারবো এবং আশা করি সে তার সেরাটা খেলবে। একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারর অভাব আছে আমাদের মিডল অর্ডারে। সাব্বিরের অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’
বিপিএলের সবশেষ আসরে সাব্বির রহমানকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার অবশ্য তাকে দলে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা নতুন নয়। একবার তো জাতীয় লিগের ম্যাচে এক দর্শককে পিটিয়ে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েন।
গত ১ জানুয়ারিতে অনুশীলনে না এসে যে ভুল করেছেন সেটা বুঝতে পেরেছেন সাব্বির নিজেও। সুজনের বিশ্বাস, পরের ম্যাচ থেকে নতুনভাবে নিজের সেরাটা দেবেন সাব্বির।
‘এটা আমি ওকে বলেছি যে, নাই আসতে পারে অনুশীলনে। অনেক ক্রিকেটারই ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে না। কিন্তু আমি চাই, আমার প্রত্যেকটি ক্রিকেটার ম্যাচের আগের দিন ট্রেনিং করুক বা না করুক, ড্রেসিং রুমে যেন থাকে। সাব্বিরকে এটিই বুঝিয়েছি। ১ তারিখের অনুশীলনে সে আসবে না, এটা আমরা কেউ জানতাম না যে কেন সে আসেনি। শৃঙ্খলাজনিত কারণ এজন্যই বললাম, যদি বলে নিত, তাহলে সেটা শৃঙ্খলাজনিত কারণ নয়। কিন্তু আমি বা ম্যানেজার বা কেউই জানত না।’
‘মাঠে গিয়ে যখন তাকে খুঁজি, জানি না যে সে কেন নেই, তাহলে তো সত্যিই দুঃখের ব্যাপার। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি। সে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে বলেছে যে, সুজন ভাই ভুল হয়েছে, আপনি রাগ করবেন না। আমার বিশ্বাস, ঢাকা ক্যাপিটালসের বাকি পুরো পথচলায় সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সে আমাকে সাপোর্ট করবে এবং সিনিয়র ক্রিকেটারের মতো আচরণ করবে। যেন ওর কাছ থেকে আমর ভালো সার্ভিস পাই। আমি মনে করি, এই ব্যাপারগুলো সে মেনে নেবে এবং কালকে নতুনভাবে নিজের সেরাটা দেবে দলের জন্য।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :