আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে তিন ফরম্যাটে ৩৬৭টি ম্যাচ খেলেছেন এই ব্যাটার।নামের পাশে ২৩টি সেঞ্চুরি লেখা আছে তাঁর। সাদা বলের ক্রিকেটে অসংখ্য রেকর্ড তার নামের পাশে লেখা রয়েছে।
টি-২০ ফরম্যাটে গাপটিল কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১২২ ম্যাচ খেলে ১৩৫.৭০ স্ট্রাইকরেট ও ৩২ গড়ে ৩,৫৩১ রান করেন তিনি। যা কোনো কিউই ব্যাটারের আন্তর্জাতিক ফরম্যাটটিতে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া গাপটিল ১৯৮ ওয়ানডেতে (১৮ সেঞ্চুরি ও ৩৯ ফিফটি) ৭,৩৪৬ রান করেন। ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটার। তার উপরে রয়েছেন কেবল রস টেলর ও স্টিফেন ফ্লেমিং। ৪৭ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরি ও ১৭ ফিফটিতে ২,৫৮৬ রান করেছেন।
২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের হয়ে গাপটিলের অভিষেক হয়। প্রথম কিউই ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ওয়ানডতে সেঞ্চুরি হাঁকান। ইডেন পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন। পরের বছর আইসিসির বিশ্বসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা পান।
২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অপরাজিত ২৩৭ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে এটাই কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটার হিসেবে এটাই বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল। এছাড়াও ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৮৯, ২০১৭ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অপরাজিত ১৮০ রানের ইনিংস কখনোই ভোলার নয়।
টি-২০ ফরম্যাটে গাপটিল দুটি স্মরণীয় সেঞ্চুরি করেন। ২০১২ সালে ইস্ট লন্ডনে ৬৯ বলে অপরাজিত ১০১ এবং ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ৫৪ বলে ১০৫। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের হয়ে তাকে শেষবার খেলতে দেখা গিয়েছিল।
বিদায়বেলায় গাপটিল বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকে সবসময়ই আমার নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন ছিল। আমি খুবই ভাগ্যবান ও গর্বিত যে নিজ দেশের হয়ে ৩৬৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পেরেছি। দারুণ একটি দলের সঙ্গে সিলভার ফার্ন জার্সি গায়ে জড়ানোর স্মৃতি আমি চিরকাল মনে রাখব। আমি আমার সতীর্থ, কোচিং স্টাফদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষত মার্ক ও’ডনেলকে, যিনি অনূর্ধ্ব-১৯ লেভেলে আমাকে কোচিং করিয়েছেন এবং সমর্থন জুগিয়েছেন পরবর্তী ক্যারিয়ারেও।’
স্ত্রী ও সন্তানদের কথা স্বীকার করে গাপটিলের ভাষ্য, ‘আমার ম্যানেজার লিন ম্যাকগোল্ডরিকের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। তার কাজ সবসময়ই ছিল পর্দার অন্তরালে। আমার স্ত্রী লরা এবং দুই সন্তান হার্লি ও টেডিকে ধন্যবাদ। লরা আমি ও আমার পরিবারের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। প্রতিটি উত্থান-পতনে তুমি আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক, মূল্যবান রত্ন ও পরামর্শক হয়ে ছিলে। যার জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটভক্তদেরও ধন্যবাদ, যারা নিউজিল্যান্ড ও বিশ্বজুড়ে বছরের পর বছর পাশে থেকেছেন।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :