সুপারস্টার ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফর্ম হারালে তাদের প্রায়ই ঘরোয়া ক্রিকট খেলে ফর্মে ফেরার পরামর্শ দিতে দেখা যায় বিশেষজ্ঞদের। বিসিসিআই সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মাঠে নামা নিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও কড়া করেছে। তবে জসপ্রীত বুমরাহ, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো সিনিয়র তারকাদের বিশেষ ছাড় দেওয়ার ঘটনাও দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে।
এবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া সফরের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি পর্যন্ত ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন রোহিত-কোহলির মতো টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র তারকারা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হেরে ওঠার পরে কোচ গৌতম গম্ভীরকে রোহিতদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। জবাবে গম্ভীর স্পষ্ট জানান যে, তিনি মনে করেন সব ক্রিকেটারেরই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মাঠে নামা উচিত।
গম্ভীরের কথার রেশ ধরেই সুনীল গাভাস্কার দাবি করেন যে, যদি জাতীয় দলের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে, তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নেমে ফর্মে ফেরার চেষ্টা করা উচিত ভারতীয় তারকাদের। তিনি এও জানান যে, ২৩ জানুয়ারি থেকে রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী রাউন্ডের ম্যাচ শুরু হবে। তিনি দেখতে চান টেস্ট দলের কতজন রঞ্জি ম্যাচ খেলতে নামেন।
সিডনি টেস্টের পরে স্টার স্পোর্টসের আলোচনায় গাভাস্কার বলেন, ‘২৩ জানুয়ারি থেকে রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী রাউন্ড শুরু হবে। দেখছি কতজন খেলে। কতজনকে পাওয়া যায়। তা থেকেই বোঝা যাবে দায়বদ্ধতা কতটা।`
গাভাস্কার আরও বলেন, `এই জন্য খেলতে পারছি না, ওই জন্য খেলতে পারছি না, এমন কোনও অজুহাত চলবে না। যদি আপনি না খেলেন, তবে আমি বলব যে গৌতম গম্ভীরের কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বলে দেওয়া উচিত যে, দলের প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা নেই। আমাদের দায়বদ্ধ ক্রিকেটার দরকার। আপনি খেলছেন না, ঠিক আছে। আপনার যা ইচ্ছে হয় সেটাই করেন। তবে ভারতের টেস্ট দলে আপনার ফেরার রাস্তা বন্ধ।’
উল্লেখ্য, রোহিত শর্মা সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরের পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩১ রান সংগ্রহ করেন। ব্যাটিং গড় মাত্র ৬.২। এমনটা নয় যে, শুধু অস্ট্রেলিয়া সফরেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন রোহিত। বরং ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২টি টেস্টের চারটি ইনিংসে ব্যাট করে হিটম্যান সংগ্রহ করেন ৬, ৫, ২৩ ও ৮ রান। পরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন টেস্টের ৬টি ইনিংসে ব্যাট করে রোহিত সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ২, ৫২, ০, ৮, ১৮ ও ১১ রান।
অন্যদিকে, বিরাট কোহলি এবারের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ৫টি ম্যাচের ৯টি ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন। ২৩.৭৫ গড়ে তিনি সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ১৯০ রান। স্ট্রাইক-রেট ৪৭.৯৭।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোহলি সিরিজে প্রতিবার আউট হন অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে। হয় স্লিপে, নতুবা কিপারের দস্তানায় ধরা দেন বিরাট। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটে রানের খরা ও একইভাবে আউট হওয়ার ধরণ দেখে কোহলির টেকনিক নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয় তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়েও।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :