জয়ের লক্ষ্য এমন কিছু বড়সড় নয়। তবে পরপর উইকেট পড়লে গুরুত্বপূর্ণ নক-আউট ম্যাচে চাপে পড়তে হতে পারে, সেটা উপলব্ধি করতে ভুল হয়নি নারায়ণ জগদীশানের। রাজস্থান শিবিরের ধস থেকেই এক্ষেত্রে শিক্ষা নেন তিনি। তাই ব্যাট হাতে শুরু থেকে ঝড় তোলেন একদা কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠে নামা তামিলনাড়ুর উইকেটকিপার-ব্যাটার।
ভদোদরায় রাজস্থানের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় তামিলনাড়ুর। টস জিতে তারা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় রাজস্থানকে। রাজস্থান একসময় ১ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তুলে ফেলে। তবে তার পরেই রাজস্থান ইনিংসে ধস নামান বরুণ চক্রবর্তী।
শেষমেশ ৪৭.৩ ওভারে ২৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় রাজস্থান। লড়াকু শতরান করেন ওপেনার অভিজিৎ তোমর। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন মহীপাল লোমরোর। অভিজিৎ ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১০৭ বলে। সাহায্য নেন ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার। শেষমেশ ১২৫ বলে ১১১ রান করে আউট হন অভিজিৎ। তিনি সাকুল্যে ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
মহীপাল ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ৪৯ বলে ৬০ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। সাহায্য নেন ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার। তামিলনাড়ুর হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ৯ ওভারে ৫২ রান খরচ করে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১০ ওভারে ৪৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন সাই কিশোর। সন্দীপ ওয়ারিয়র ৩৮ রানে ২টি উইকেট নেন।
সুতরাং, জিততে হলে তামিলনাড়ুর দরকার ছিল ২৬৮ রান। তুষার রাহেজাকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন নারায়ণ জগদীশান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জগদীশান। আমন শেখাওয়াত ওভারের শুরুতেই একটি ওয়াইড বল করেন, যা কিপারের নাগাল এড়িয়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। অর্থাৎ, কোনও বল না করেই ৫ রান খরচ করেন আমন।
ঠিক তার পরে ওভারের ৬টি বলে ৬টি চার মারেন জগদীশান। অর্থাৎ, অতিরিক্ত ৫ রান মিলিয়ে শেখাওয়াতের সেই ওভারে ওঠে মোট ২৯ রান। তামিলনাড়ু ২ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান তুলে ফেলে। জগদীশান ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৩৩ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৫২ বলে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন জগদীশান। মারেন সাকুল্যে ১০টি চার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :