বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৫ টেস্টের ৯ ইনিংসে বল করে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সিরিজের সর্বাধিক উইকেট নেওয়া বোলার ছিলেন বুমরাহ। তবে সিডনিতে শেষ টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে দেখা যায়নি তাকে। চোটের কারণে মাঠেই নামতে পারেননি তিনি। পুরো সিরিজে তার উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে এই ইনজুরি হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। অতিরিক্ত বুমরাহ নির্ভরতা যে এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে দেখা গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর এরপরেই বুমরাহকে নিয়ে বোর্ডকে সতর্ক করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। তিনি মনে করেন বুমরাহকে অধিনায়ক করা উচিত নয়। তাঁর এখন শুধুমাত্র নিজের বোলিংয়ের উপর ফোকাস করা এবং নিজেকে সুস্থ রাখা উচিত।
পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলেননি রোহিত শর্মা। পারিবারিক কারণে তিনি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল জসপ্রীত বুমরাহ। সেই ম্যাচে ২৯৫ রানে জয় পেয়েছিল ভারত। এরপর খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে সিডনিতে নিজেকে ড্রপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। ফের একবার দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল বুমরাহের কাঁধে। আর তাঁর এই সাম্প্রতিক ফর্ম বিচার করে অনেকেই মনে করছেন রোহিতকে সরিয়ে পাকাপাকি ভাবে বুমরাহকে অধিনায়ক করা উচিত টিম ম্যানেজমেন্টের।
তবে এমনটা মনে করছেন না মহম্মদ কাইফ। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বুমরাহকে পাকাপাকি ভাবে অধিনায়ক করার আগে বিসিসিআই-এর দু’বার ভাবা উচিত। তার এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ফিট থাকার এবং উইকেট নেওয়ার উপর নজর দেওয়া উচিত। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ওর উপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে, যা শেষ পর্যন্ত চোটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ফলে তার অসাধারণ ক্যারিয়ার ছোট হয়ে আসবে। সোনার ডিম দেওয়া রাজহাঁসকে হত্যা করবেন না।’
উল্লেখ্য, সিডনিতে দ্বিতীয় দিনের খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। দ্রুত সেই সময় মাঠ থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রাথমিভাবে মনে করা হচ্ছিল পিঠে খিঁচ ধরেছে তার। এরপরে ফিরে আসেন ড্রেসিংরুমে। সবাই ভেবেছিলেন হয়তো ঠিক আছেন বুমরাহ। কিন্তু উদ্বেগ বাড়ে তৃতীয় দিনে। রবিবার তাকে ছাড়াই বোলিং করতে হয় ভারতকে।
পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুমরাহের চোট কোন পর্যায়ের সেটি এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে তার। যদি গ্রেড ওয়ান ক্যাটাগরির চোট হয়, সেক্ষেত্রে খেলায় ফেরত আসার আগে কমপক্ষে ২-৩ সপ্তাহ রিহ্যাবে কাটাতে হবে তাঁকে। যদি গ্রেড টু ক্যাটাগরির চোট হয়, সেক্ষেত্রে সেরে ওঠার জন্য ৬ সপ্তাহের প্রয়োজন হতে পারে। গ্রেড থ্রি ক্যাটাগরির চোট হলে তা বেড়ে ৩ মাস হতে পারে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :