ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি২০র ম্যাচে ১ দিনের ব্যবধানেই দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ নিলো এমআই এমিরেটস দল। তাঁরা দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৬ রানের জয় তুলে নেয়।ম্যাচে এক সময় টানটান পরিস্থিতি ছিল, দেখে মনে হচ্ছিল যে কোনও দলই পেতে পারে জয়ের স্বাদ।ম্যাচের এমন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত খেলা মোড় ঘুরিয়ে দলকে জয় উপহার দেয় এমআই বোলাররা।
এক দিন আগেই ইন্টারন্যাশনাল টি২০ লিগের ম্যাচে দুবাই ক্যাপিটালস দল হারিয়ে দিয়েছিল এমআই এমিরেটসকে। এবার সেই সিকান্দার রাজার দলের বিরুদ্ধেই এমআইকে জেতালেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। একদিকে যখন সাউথ আফ্রিকায় চলছে টি২০ লিগ, তেমনই শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।
টস জিতে দুবাই ক্যাপিটালস দল ব্যাট করতে পাঠায় এমআইকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৭ রান করে নিকোলাস পুরানের এমআই। দুই ওপেনার তেমন বড় রান না পেলেও ফার্স্ট ডাউনে নামা টম ব্যান্টন এবং ফোর্থ ডাউনে আসা নিকোলাস পুরানই দলের রাশ নিজেদের হাতে নেন। তাঁদের অর্ধশতরানের সুবাদে বড় রানের দেখা পায় এমআই এমিরেটস।
বদলার ম্যাচে টম ব্যান্টন ব্যাট হাতে করেন ৫২ বলে ৭৪ রান। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান করেন ৫৯ রান। মাত্র ২৯ বলেই ৬টি ছয় এবং ২টি চারে সাজানো এই ইনিংস খেলেন পুরান। কেইরন পোলার্ড দলের হয়ে ২২ রান করলেও খেললেন ১৯ বল। নিজের কেরিয়ারের সেরা সময় যে তিনি পার করে এসেছেন, তা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। দুবাইয়ের দলটির হয়ে গুলবাদিন নইব তিনটি এবং ওলি স্টোন জোড়া উইকেট নেন।
১৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দুবাইয়ের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র শাই হোপই সব লাইমলাইট কেড়ে নিলেন। কারণ তিনি যেখানে শতরান করে দলকে টানার মরিয়া চেষ্টা চালালেন, সেখানে দলের বাকিরা ফুল ফ্লপ। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ১৬ রান, করেন ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন। সিকান্দার, রাজা, গুলবদিন নইব, রভম্যান পাওয়েলরা কেউই তেমন রান পেলেন না।
১৬তম ওভারে যখন শাই হোপ ৫৯ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেন, তখনও মনে হচ্ছিল দুবাই জিততে পারে। কিন্তু ৬ বলের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে দুবাই ক্যাপিটালস ব্যাকফুটে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬১ তোলে ক্যাপিটালসরা। ২৬ রানে জয় তুলে নেয় পুরানের এমআই এমিরেটস দল।
আইপিএলের সময় সেভাবে টি২০ চলে না, কারণ অধিকাংশ তারকা ক্রিকেটারই খেলেন আইপিএলে। কিন্তু অন্যান্য সময় সব লিগই চায় যত বেশি সম্ভব ম্যাচ আয়োজন করতে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের রমরমা বাজারে এখন নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররাই নিজেদের বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছে অর্থ উপার্জনের জন্য।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :