শনিবার বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনাল। তার একদিন পর অর্থাৎ রবিবারই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করে দিতে চলেছে বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা, সম্ভাবনা তেমনটাই। বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনাল পর্যন্ত তাঁরা একটু দেখে নিতে চাইছেন, যদি কোনও ক্রিকেটার এই ফরম্যাটে বেশ ভালো নজর কাড়েন। সেক্ষেত্রে তাঁদের দলে আনা হতে পারে। মুল স্কোয়াডে না হলেও রাখা হতে পারে রিজার্ভে।
২০২৩ বিশ্বকাপের সময় লোকেশ রাহুল উইকেটকিপিং করেছিলেন, তবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে তাঁর জায়গা নাও হতে পারে। অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি পন্তের পাশাপাশি এই স্কোয়াডের জন্য ব্যাক আপ হিসেবে রাখতে পারে ধ্রুব জুরেলকে। জানা যাচ্ছে উইকেট কিপিং পজিশনে পন্তের পর ব্যাক আপ হিসেবে ধ্রুব জুরেলের সঙ্গেই লড়াই চলছে সঞ্জু স্যামসনের। এছাড়াও দৌড়ে চলে এসেছেন ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার ব্যাটার ইশান কিষান।
ভারত এবং পাকিস্তান দল এখনও পর্যন্ত তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করেনি, বাকি ছয় দলই প্রাথমিক স্কোয়াড জানিয়েছে। বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালের পরই ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করবে আইসিসির মেগা ইভেন্টের। নির্বাচকদের মুলত দুটি পজিশনে ক্রিকেটার বাছাই নিয়ে সমস্যা রয়েছে. প্রথমত উইকেটকিপার। দ্বিতীয়টি স্পিনার কুলদীপ যাদব।
কুলদীপ যাদব চোট কাটিয়ে অনুশীলনের এক ভিডিও শেয়ার করেছিলেন কয়েকদিন আগেই। যদিও নির্বাচকরা এখনও তাঁর ফিট সার্টিফিকেট পাননি এনসিএর থেকে। কুলদীপ খুব শীঘ্রই একটি ফিটনেস টেস্ট দিতে চলেছে। যদিও তাঁর ব্যাক আপও তৈরি রাখছে নির্বাচকরা। বিজয় হাজারে ট্রফির ছয় ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়া বরুণ চক্রবর্তী নাম ভাসছে ব্যাক আপ স্পিনার হিসেবে। যদিও দুবাইয়ের ফ্ল্যাট উইকেটে তিনি কতটা কি করতে পারবেন, সেই নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
রবি বিষনৈ রয়েছে দৌড়ে। তিনি ছয় ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। ইকোনমি ছিল ৩.৬৪। ভালো ফিল্ডার হওয়ায় বরুণ চক্রবর্তীর থেকেও নির্বাচকদের বেশি পছন্দ রবি। তবে কুলদীপ যাদব যদি ফিট হয়ে যান সেক্ষেত্রে ওয়াসিংটন সুন্দরের সঙ্গে তিনি জেতে পারেন দুবাইতে। এছাড়াও অলরাউন্ডার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা থাকতে পারেন, ফলে বেশি স্পিনার অযথা সেদেশে আর নেবে না ভারত।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :