চট্টগ্রামে মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় বিপিএল। সব দল চট্টগ্রামে পৌঁছেও গিয়েছে। ব্যাট বলের লড়াইয়ের আগে গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা ছিল দুর্বার রাজশাহীর। দলটির তরফ থেকে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানানো হয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই সেই অনুশীলন বাতিল হয়ে যায়।
গতকাল(বুধবার) সকাল ১০ টা থেকে রাজশাহীর অনুশীলন করার কথা ছিল। তবে সকাল পৌনে এগারোটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির থেকে জানানো হয়, অনুশীলন বাতিল করা হয়েছে। বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হঠাৎ করে কেন অনুশীলন বাতিল করা হলো, খুঁজতে গিয়ে ভিন্ন কারণ জানা যায়। পারিশ্রমিক বকেয়া থাকায় অনুশীলন বয়কট করেছেন দলের ক্রিকেটাররা।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্কোয়াডে থাকা এক ক্রিকেটার জানান, বিপিএল মাঝপথে চলে এলেও এখনো কোনো টাকা পাননি। যে কারণে অনুশীলন বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। দেশিদের পাশাপাশি দলটির কোনো বিদেশি ক্রিকেটারও পারিশ্রমিক বুঝে পাননি। অবশ্য জানা গেছে, ২৫ শতাংশ করে পারিশ্রমিক পেয়েছেন কোচরা। যদিও ম্যানেজমেন্টের তরফে আচমকা অনুশীলন পণ্ড হওয়ার ব্যাখ্যায় বিশ্রামের কথা বলা হচ্ছে।
তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পারিশ্রমিকের সঙ্গে অনুশীলন না করার কোনো সম্পর্ক নেই। রাজশাহীর অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ বলেন, ক্রিকেটারদের চাওয়াতেই নির্ধারিত অনুশীলন বাতিল করে তাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধমের মুখোমুখি হয়ে জায়েদ বলেন, ‘অনুশীলন বয়কট যে শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে আমি যতটুকু জানি এবং আমার টিম ম্যানেজমেন্ট বা খেলোয়াড় কারো পক্ষ থেকে বয়কট শব্দটি যায়নি। আমাদের ম্যাচ আছে আমরা ব্যস্ত সূচির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এজন্য ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চেয়েছিল।’
‘আমরা তাদের বিশ্রাম দিয়েছি। পেমেন্টের কোন ইস্যু ছিল না। পেমেন্টের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীকাল ১৬ তারিখ বিকেল বা দুপুরের পর পর আমরা পেমেন্টগুলো দিয়ে দেব। সে অনুযায়ী আমরা ম্যানেজমেন্ট কাজ করছি এবং প্রতিটা ক্রিকেটারই জানে।’-যোগ করেন তিনি।
ক্রিকেটারদের চেক বাউন্স করার বিষয়ে জায়েদ বলেন, ‘চেক বাউন্সের যে ইস্যুটা ছিল, আমরা চেক দিয়েছিলাম সিলেটে। আপনারা জানবেন যে ঢাকাতে আমাদের শেষ ম্যাচে মালিকের স্ত্রীর গায়ে একটা বল লেগেছিল এবং হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া লাগে। ফোনে যেহেতু ব্যাংক ক্লিয়ারেন্সের ব্যাপার থাকে। মালিককে পাবে তাই আমরা আগেরদিনই জানিয়ে দিয়েছিলাম তোমরা চেকগুলো জমা দিও না।`
‘এটা প্রায় সব ক্রিকেটারকে জানিয়েছিলাম, এরমধ্যে হয়ত দু-একজন জমা দিয়ে ফেলেছিল। পরে বলেছে ভাইয়া তথ্যটা আমাদের কাছে ছিল না, আমরা মিস করে গেছি। অসুবিধা নেই ভাইয়া, এটা যখন আসবে তখন আমরা ম্যানেজ করে নিব। এতটুুকুই ছিল ব্যাপার কিন্তু সবার কাছে চেক দেয়া আছে ২৫ শতাংশের। আর বিদেশি যারা ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফ আছে তাদের ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ দিয়ে ফেলেছি।’-যোগ করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :