বর্তমানে টিম ইন্ডিয়ার উপর ১০-পয়েন্টের আচরণবিধি চালু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই ঘটনার পরে সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনা দেখা গিয়েছে। এবার বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ইয়ান হিলি। ক্রিকেট দলগুলোকে শৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হিলি। ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সম্প্রতি খেলোয়াড়দের জন্য কঠোর এই নিয়ম চালুর পিছনে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের ১-৩ ব্যবধানে হারকেই দেখছেন হিলি।
রেডিওতে কথা বলার সময় ইয়ান হিলি বলেন যে, বিসিসিআই-এর নতুন সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ভারতীয় দলে বর্তমানে শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। হিলি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট দলে পুনর্গঠন চলছে। বিসিসিআই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা মূলত বোঝাচ্ছে যে তাদের জাতীয় দলের শৃঙ্খলা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।’
নতুন আচরণবিধির মূল নিয়মসমূহ
১) খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ অনুশীলন সেশনে উপস্থিত থাকতে হবে।
২) সফরের সময় সকলকে এক সঙ্গে ভ্রমণ করতে হবে।
৩) সফরের সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকবে।
এই সিদ্ধান্ত দেখে হিলি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই শৃঙ্খলাহীনতা এতদিন ধরে কীভাবে চলতে পারে। হিলি বলেন, ‘এটি সত্যিই আশ্চর্যের যে, এতদিন ধরে এই বিষয়গুলো কীভাবে অনুমোদনহীন রয়ে গেল।’ তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেছেন যে ভারতীয় খেলোয়াড়রা অনেক সময় পরিবারসহ আলাদাভাবে ভ্রমণ করেছেন এবং ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করেছেন, যা বোর্ডের নতুন নীতির পরিপন্থী।
ইয়ান হিলি মনে করেন যে শুধু ভারত নয়, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশগুলোকেও সতর্ক থাকা উচিত। যাতে দলের মধ্যে শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা বাড়তে না পারে। হিলি বলেছেন, ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও খেলোয়াড়রা হয়তো বুঝতে পারেনি যে তারা ক্রিকেটের স্বপ্ন ও গৌরবকে অবহেলা করছে। অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলোর উচিত সতর্ক থাকা, যেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।’
বিসিসিআই-এর নতুন কঠোর নিয়ম
১) দলের হোটেলে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ম্যানেজার বা সহকারীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ।
২) সিলেক্টরদের জন্য নির্ধারিত আতিথেয়তা বক্সে কোনও খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ম্যানেজার থাকতে পারবেন না।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কারণ সমালোচনা উঠেছিল যে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ম্যানেজাররা দলীয় হোটেল ও আতিথেয়তা সুবিধা ব্যবহার করছিলেন। যা দলে অনৈতিক প্রভাব ফেলছিল। হিলির মতে, বিসিসিআই-এর নতুন শৃঙ্খলাবিধি বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য একটি সতর্কবার্তা, যা অন্যান্য দেশগুলোরও অনুসরণ করা উচিত।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :