রাগে আম্পায়ারের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে মেয়েদের অ্যাশেজে বিতর্ক তৈরি করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হেথার নাইট। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বইতেই টনক নড়ে ব্রিটিশ ক্যাপ্টেনের। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে নিতে কার্যত বাধ্য হন। বৃহস্পতিবার ক্যানবেরায় মহিলা অ্যাশেজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে।
ইংল্যান্ড পালটা ব্যাট করতে নামলে বৃষ্টিতে থমকায় ম্যাচের গতি। শেষে ১৯.১ ওভারে বৃষ্টির জন্য বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল তখন ৪ উইকেটে ১৬৮ রান। অর্থাৎ, জয়ের জন্য তখন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৫ বলে ১৮ রান। তবে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ম্যাচের সেই পর্যায়ে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৬ রান।
আম্পায়াররা দুই অধিনায়ক তালিয়া ম্যাকগ্রা ও হেথার নাইটকে মাঠে ডেকে যখন খেলা শেষের কথা জানিয়ে দেন, তখনও বৃষ্টি একেবারে থেমে যায়নি। আম্পায়ারদের ছাতা নিয়ে মাঠে নামাতেই সেটা স্পষ্ট। আম্পায়াররা যখন অস্ট্রেলিয়াকে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জয়ী ঘোষিত করেন, দৃশ্যতই অখুশি ছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক নাইট। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন তালিয়ার সঙ্গে করমর্দন করেন। তবে আম্পায়ার হাত বাড়ালেও তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেন।
নাইট মুখ ফিরিয়ে চলে যান সাজঘরের দিকে এবং অজি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। নাইটের অসৌজন্যমূলক আচরণ এক্ষেত্রে ভালো চোখে দেখেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
নাইটের এক্ষেত্রে বিশ্বাস ছিল যে, তাদের ম্যাচ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় এক্ষেত্রে। কেননা তিনি নিজে ১৯ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন সেই সময়। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান নিজের ইনিংসে। সম্ভবত সেই কারণেই ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় নিতান্ত হতাশ হন নাইট।
নেটিজেনরা অবশ্য নাইটের এমন অসম্মানজনক আচরণকে কোনওভাবেই মেনে নেননি। তাদের দাবি, আম্পায়াররা ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন না। তাদের কাছে প্রাধান্য পায় প্লেয়িং কন্ডিশন। তাই এক্ষেত্রে আম্পায়ারের সঙ্গে নাইট ক্যাপ্টেনের আচরণ নিন্দাজনক সন্দেহ নেই। নাইট নিজেও পরে স্বীকার করে নেন যে, আম্পায়াররা এক্ষেত্রে যথাযথ সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :