আরচ্যারী প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব, নাচ আর গানে চুয়াডাঙ্গায় দারুন জমে উঠেছিল তারুণ্যের উৎসবে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের আয়োজন। উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠছে আরচ্যারী ফেডারেশনের জেলায় জেলায় কার্যক্রম। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে `এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই` স্লোগানে তারুণ্যের উৎসবে শামিল হয়েছে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন। নীলফামারী, ফরিদপুর, টঙ্গীর আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ও নাটোরের খুবজীপুরের পর এবার তারুণ্যের উৎসবে আরচ্যারীর নানা আয়োজন সম্পন্ন হলো চুয়াডাঙ্গায়।
সকালে জেলা প্রশাসক চত্বর থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালি।শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পরে চাঁদমারী খেলার মাঠে শেষ হয়। এরপর আরচ্যারী প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মোঃ খন্দকার গোলাম মওলা ও বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সোহেল আকরাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এখলাছ উদ্দিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল জানান, ইতি খাতুনের মতো দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণজয়ী আরচ্যার উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গা থেকে। এই জেলার মাঝে আছে অনেক সম্ভাবনা। নতুন নতুন ভালো মানের আরচ্যার তৈরিতে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। তাই চুয়াডাঙ্গায় একটি প্রশিক্ষণ ভেন্যু তৈরিতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। এছাড়া ইনডোর আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশিপ চুয়াডাঙ্গায় হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। এর আগে একবার ঢাকায় ইনডোর আরচ্যারী হয়েছিল।
উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তারুণ্যের উৎসবে আরচ্যারী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় আরচ্যাররা। ছেলে ও মেয়ে সহ মোট ৫৪ জন আরচ্যার অংশ নেয় প্রতিযোগিতায়। ছেলেদের এককে সোনা জিতেছেন সাকিব। আর রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ জিতেছেন শিহাব ও শাহরুখ। মেয়েদের এককে তিশা জিতেছেন সোনা। আর মৌ রৌপ্য ও মনিকা ব্রোঞ্জ পদক জয় করে। খেলা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
তারুণ্যের উৎসবকে ধারণ করে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন দেশের ৯টি ভেন্যুতে নানা আয়োজন সম্পন্ন করছে। নীলফামারী, ফরিদপুর, টঙ্গীর আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাটোরের খুবজীপুর ও চুয়াডাঙ্গার পর আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসবের বাকি আয়োজনগুলো হবে ২৮ জানুয়ারি নড়াইলে, ৩১ জানুয়ারি রাজশাহীতে, ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে এবং চূড়ান্ত পর্ব ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :