AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বরিশালকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করলো চিটাগং


Ekushey Sangbad
ক্রীড়া প্রতিবেদক
১০:৫৩ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
বরিশালকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করলো চিটাগং

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের লক্ষ্য বরিশালকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করা। সেই লক্ষ্যে আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে বরিশাল। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে ছিল রংপুর রাইডার্স। 

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে তিনে ঠেলে দিয়ে এবার দুইয়ে উঠে এলো চিটাগং কিংস। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ১৬ করে। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় সরাসরি প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে চিটাগং। 

এদিকে প্রথম এলিমিনেটরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলবে রংপুর রাইডার্স। এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দল খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের বিপক্ষে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল সরাসরি খেলবে ফাইনালে।শনিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে ফরচুন বরিশালকে ২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় চিটাগং কিংস। পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি ও শেষদিকে শামীম হোসেন পাটওয়ারীরর ১২ বলে ৩০ রানের ক্যামিওতে ২০৬ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগং। হায়দার আলী অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৪২ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। ফলে ২৪ রানের জয় পায় চিটাগং কিংস। 

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভারেই ওপেনার তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বরিশাল। স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ১৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। এবার ১১ বলে ৯ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে আলিস ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান খালেদ আহমেদ।

মুশফিকুর রহিম থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২২ বল খেলে ২৪ রান করে আলিসের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন দাউইদ মালান।এক প্রান্ত আগলে রেখে ঝোড়ো ব্যাটিং করা দাউইদ মালানকে থামান আলিস আল ইসলাম। ৩৪ বলে ৬৭ রান করা এই ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মদ নবি ফেরেন কোন রান না করেই। আরাফাত সানির বল বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে শামীমের হাতে ধরা পড়েন এই আফগান।

১০ বলে ১১ রান করা রিশাদ হোসেন কাটা পড়েন রানআউটে। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে বিনুরা ফার্নান্দোর বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জেমস ফুলার। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৮ রান। ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চিটাগংয়ের হয়ে বিনুরা ফার্নান্দো ও আলিস দুটি করে উইকেট শিকার করেন। খালেদ আহমেদ ও আরাফাত সানি নেন একটি করে উইকেট।

আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার খাজা নাফায় ও পারভেজ হোসেন ইমনের কল্যাণে ঝোড়ো শুরু পায় চিটাগং। মোহাম্মদ নবির বলে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে খাজা ফিরলে ভাঙে তাদের ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ইমন।দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্লার্ক-ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৭০ রান। ৪১ বলে ৭৫ রান করা ইমন ফেরেন এবাদতের বলে জেমস ফুলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্ক। ২১ বলে ২৬ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

এ দিন ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই তাইজুলের বলে বাউন্ডারির কাছে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর হায়দার আলী ও শামীম হোসেন পাটওয়ারী ইনিংস শেষ করেন। ১২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। আরেক প্রান্তে ২৩ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন হায়দার আলী।

বরিশালের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ নবি ও এবাদত হোসেন।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে


 

Link copied!