বিপিএল থেকে দুর্বার রাজশাহীর বিদায় নিশ্চিত হয় অনেক আগেই। এরপরও ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে নিয়ে কোনোভাবেই বিতর্ক শেষ হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে দেশি-বিদেশি সব খেলোয়াড়দেরই বেতন আটকে ছিল। এমনকি মালিক শফিকুর রহমানের দেশ ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জনও শোনা যায়।
কিন্তু ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয় দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমানকে। তিন কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বাকি থাকা অর্থ পরিশোধ করা হবে বলে সেখানেই জানান তিনি। এর অন্যথা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পক্ষেও সায় দেন তিনি।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৩ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটারদের কিস্তির একটি অংশ দেয়ার কথা ছিল। সেই কথা রেখেছে দলটি। গতকাল রাতেই চুক্তির আরও ২০ শতাংশ পারিশ্রমিক দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়দের মাঝে দেয়া হয়েছে। এই নিয়ে ৪৫ শতাংশ অর্থ প্রদান করা হয়েছে খেলোয়াড়দের। প্রথম দফায় ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছিল দুর্বার রাজশাহী।
দুর্বার রাজশাহীর এক স্থানীয় খেলোয়াড় গতকাল রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, দলে থাকা সব ক্রিকেটারই এই দফায় বেতন পেয়েছেন। এর আগে পারিশ্রমিক প্রদানে চেক ব্যবহার করে দুর্বার রাজশাহী। যদিও সেই চেক বাউন্সের ঘটনাও ঘটেছে। এদফায় অবশ্য তেমন বিতর্কের সুযোগ থাকছে না।কারণ চুক্তির ২০ শতাংশ নগদ টাকায় পরিশোধ করা হয়েছে।
অবশ্য পুলিশি হেফাজতের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে রাজশাহী মালিক শফিকুর রহমান জানিয়েছিলেন, ২৫ শতাংশ হারে ৩, ৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তথা তিন কিস্তিতে দলের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করা হবে। প্রথম দিনে ২৫ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ অর্থ ক্রিকেটারদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :