ভারতের কাছে সাদা বলের ক্রিকেট সিরিজে লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়েছে ইংল্যান্ড। ওডিআই এবং টি-২০ সিরিজ মিলিয়ে ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতেই পরাজিত হয়েছে বাটলাররা। খেলায় জিততে না পারলেও গলফ খেলায় খামতি ছিল না ইংরেজ ক্রিকেটারদের। অনুশীলন বাদ দিয়ে মজায় মাতেন তারা। আর এই বিষয়টি নিয়েই সমালোচনা করেন প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন।
তিনি বাটলারদের না চেষ্টা করার বিষয়টি নিয়ে সরব হন। পিটারসেন মনে করেন টি-২০ সিরিজে ৪-১ এবং ওডিআইতে ৩-০ ব্যবধানে ইংল্যান্ডের হারের কারণ, লড়াই না করার মনোভাব।
কেভিন পিটারসেন একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, এক ইংরেজ সাংবাদিক তাকে একটি আর্টিকেল পাঠিয়েছে, যেখানে তিনি দাবি করেছেন ইংল্যান্ড দল ‘চোট’ এবং খেলার মাঝে ‘পরিবর্তনের’ কারণে অনুশীলন বয়কট করেছিলেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমায় এক ইউকের সাংবাদিক একটা আর্টিকেল পাঠাল এবং বললো যে আমি এবং শাস্ত্রী নাকি ইংল্যান্ডের অনুশীলন এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে নাকি ভুল কথা বলেছি। আসল কারণ নাকি- চোট এবং ঝটপট করে সব ম্যাচ! তুমি আমায় একটা উপকার করো! ক্রিকেট নিয়ে লেখা ছেড়ে দাও যদি এরকম ভুলভাল লিখে থাকো। চোট আঘাত খেলাধুলোর অংশ এবং খেলার ক্রীড়াসূচিটিও আর পাঁচটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মতোই ছিল। চোট কখনও একজন ব্যাটসম্যানকে নেটে নেট বোলারদের খেলা থেকে বিরত রাখে না। একই ভাবে স্পিনের বিরুদ্ধে কৌশল শেখা থেকেও না। আর এটাই সেই জায়গা যেখানে তাদের উন্নতির প্রয়োজন ছিল। বিশ্বাস করুন এটা আমায় স্পিনের বিরুদ্ধে কেরিয়ার বাঁচাতে সাহায্য করেছিল। আমার মনে হচ্ছে এই সাংবাদিকরা আমাদের মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করছে। তোমরা এই ভাবে মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না।’
বিষয়টির সূত্রপাত কোথা থেকে? আমদাবাদে যখন ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় ওডিআই ম্যাচটি চলছিল, তখন রবি শাস্ত্রী কমেন্ট্রি করার সময় বলেন, ‘আমি শুনতে পেলাম ইংল্যান্ডের দল এই পুরো সফরে মাত্র একটি নেট সেশন করেছে।’
তিনি আরও দাবি করেন যে এই দলের মধ্যে লড়াই দেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। জবাবে, পিটারসেন স্টার স্পোর্টস এবং তারপরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ম্যাচ-পরবর্তী শো চলাকালীন তার হতাশা প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি একেবারে হতবাক যে ইংল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে হেরে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর থেকে একটিও অনুশীলন সেশন করেনি। এটা কিভাবে হতে পারে? সিরিয়াসলি, কিভাবে? আমি জানি যে নাগপুরের পর এই সিরিজে একমাত্র জো রুটই নেট সেশনে অংশ নিয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, ম্যাককালামের জমানায় ইংল্যান্ডের অপশনাল প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা থাকে। অর্থাৎ চাইলে আসুন, না হলেও সমস্যা নেই। তবে সেটা কাজে লাগিয়ে এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় কেউ নেটে আসতেই চাইছেন না।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :