হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন পর থেকে মাঠে গড়াবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এর নবম আসর। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ৫০ ওভারের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে আটটি দল।
ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ শুরুর আগে ভারতীয় দলের স্কোয়াড, টিমের ক্রিকেটারদের ফর্ম এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারতীয় দলের শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ ও হুমকি অর্থাৎ SWOT বিশ্লেষণ করা হল।
বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপই তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে এই দুজনের পারফরম্যান্সের জন্য সমালোচিত হতে হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ প্রমাণ করেছে যে একদিনের ফরম্যাটেই তারা সবচেয়ে সেরা।
শুভমন গিল ও শ্রেয়স আইয়ারের উপস্থিতিতে ভারতের টপ-ফোর ব্যাটিং অর্ডার যে কোনও বোলিং লাইনআপকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। মিডিল অর্ডারে ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং দক্ষতা হল টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সেরা শক্তি।
এছাড়াও দলের স্পিন এবং তরুণ বোলিং লাইন আপ ভারতীয় দলের অন্যতম শক্তি। এছাড়াও ভারতীয় দলের অন্যতম বড় শক্তি হল টিমের অলরাউন্ডারের সংখ্যা। একাধিক অলরাউন্ডার দলের শক্তিকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
পেস আক্রমণের প্রধান ভরসা জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতি ভারতের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে তিন ফরম্যাটেই বুমরাহ ভারতের অন্যতম সেরা ম্যাচ-উইনার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি বল হাতে প্রায় প্রতি স্পেলে উইকেট নেওয়ার নিশ্চয়তা দেন।
বুমরাহ না থাকায় মহম্মদ শামি দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার হবেন। তবে শামি দীর্ঘ চোট কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন, তাই তার ফর্ম নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে। এছাড়াও দলে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির বর্তমান ফর্ম টিম ইন্ডিয়াকে চাপে রাখতে পারে। কারণ সে ভাবে ধারাবাহিক ব্যাটে রান পাচ্ছেন না তারা। ফলে তারা যদি রান না পান তাহলে দলের টপ অর্ডার ভেঙে যেতে পারে। আর একবার ভারতীয় দলের টপ অর্ডার ভেঙে গেলে পুরো দলের উপর চাপ তৈরি হতে পারে।
ভারতের স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে বরুণ চক্রবর্তীকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই মিস্ট্রি স্পিনার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হতে পারে তার জন্য একদিনের ক্রিকেটে নিজের জায়গা নিশ্চিত করার বড় সুযোগ।
গত বছর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ভারত আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এবার যদি তারা ফাইনালে পৌঁছায়, তাহলে অতীতের ব্যর্থতা যেন দলকে প্রভাবিত না করে, সে দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :