ফরম্যাট বিবেচনায় ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অবস্থান। ১৯৯৮ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পথচলা শুরু হয়। বাংলাদেশের মাটিতে উদ্বোধনী আসরের নাম ছিলো ‘উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ’। এরপর নক-আউট প্রতিযোগিতা এবং ২০০২ আসরে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’ নাম করা হয়।
২০১৭ সালে সর্বশেষ মাঠে গড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। প্রথম থেকে অষ্টম আসর পর্যন্ত অনেক রেকর্ডের জন্ম হয়েছে এ টুর্নামেন্টে।
সর্বোচ্চ ম্যাচ জয় : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। ২৯ ম্যাচ খেলে ১৮টিতে জয় পায় তারা।
সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি দু’বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। ২০০৬ ও ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০০২ ও ২০১৩ সালে শিরোপার স্বাদ নেয় ভারত। এর মধ্যে ২০০২ সালে শ্রীলংকার সাথে যৌথভাবে শিরোপা জিতেছিলো ভারত।
সর্বোচ্চ রানার্স-আপ : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি দু’বার রানার্স-আপ হয়েছে ইংল্যান্ড। ২০০৪ ও ২০১৩ সালে রানার্স-আপ হয় ইংলিশরা।
সর্বোচ্চ দলীয় রান : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ দলীয় রান নিউজিল্যান্ডের। ২০০৪ সালে ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪৭ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড।
সর্বনিম্ন দলীয় রান : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বনিম্ন দলীয় রান যুক্তরাষ্ট্রের। ২০০৪ সালে সাউদাম্পটনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৪ ওভারে ৬৫ রানে অলআউট হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র।
বড় জয় : রান বিবেনচনায় সবচেয়ে বড় জয় নিউজিল্যান্ডের। ২০০৪ সালে ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২১০ রানে জিতেছিলো কিউইরা।
উইকেট বিবেচনায় সবচেয়ে বড় জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৬ সালে জয়পুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জিতেছিলো ক্যারিবীয়রা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ১০ উইকেটে জয় এই একটিই।
কম ব্যবধানে জয় : রান বিবেনচনায় সবেেচয় কম ব্যবধানে জিতেছে ভারত। ২০১৩ সালে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ৫ রানে জিতেছিলো টিম ইন্ডিয়া।
উইকেট বিবেচনায় ১ উইকেটে জয় আছে একটি। ২০১৩ সালে কার্ডিফে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১ উইকেটে জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। ১৭ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিতে ৭৯১ রান করেছেন তিনি।
সর্বোচ্চ উইকেট : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক নিউজিল্যান্ডের কাইল মিলস। ১৫ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল : সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারার। ২২ ম্যাচে ৩৩ ডিসমিসাল আছে তার। ২৮টি ক্যাচ ও ৫টি স্টাম্পিং করেছেন সাঙ্গা।
সর্বোচ্চ ক্যাচ : সর্বোচ্চ ক্যাচের মালিক শ্রীলংকার মাহেলা জয়াবর্ধনের। ২২ ম্যাচে ১৫টি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।
সর্বোচ্চ রানের জুটি: যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ও শেন ওয়াটসন। ২০০৯ আসরে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ২৫২ রান করেছিলেন পন্টিং-ওয়াটসন।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ২২টি করে ম্যাচ খেলেছেন শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং। ১৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১২টিতে জিতেছে তিনি। জয় বিবেচনায় যা সর্বোচ্চ।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ আম্পায়ার : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ২১টি ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টিভ বাকনার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :