চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হচ্ছে পাকিস্তানে। প্রায় তিন দশক পর সে দেশে আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। মাঝে সন্ত্রাসবাদের কারণে অনেক দিন পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি। আইসিসির এই প্রতিযোগিতায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পাকিস্তান। যে তিনটি শহরে খেলা হবে তা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।
সে দেশের পুলিশ বাহিনির দাবি, পাকিস্তানে আসা ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের জন্য কার্যত লোহার বর্ম তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ১০ হাজার ক্যামেরা তৈরি রাখা হয়েছে। সেখানে মানুষের মুখ দেখেই তার পরিচিতি জানা যাবে।
করাচির পুলিশ জানিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিশেষ বাহিনি ‘সোয়্যাট’কে তৈরি রাখা হচ্ছে। করাচির এক ডিআইজি মকসুদ আহমেদ জানিয়েছেন, গোটা শহরে থাকবেন পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী। পাশাপাশি রেঞ্জার্স এবং সেনাবাহিনি-সহ অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষী বাহিনিকে রাখা হবে।
আহমেদের কথায়, “আমরা পাঁচ হাজারেরও বেশি পুলিশ তৈরি রাখব। বিভিন্ন মাঠে বিভিন্ন সময়ে দলগুলি যাতে অনুশীলন করতে পারে, সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া হোটেলের ঢোকা-বেরোনোর পথ, ছাদ এবং অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে।”
লাহোরের দায়িত্বে থাকা পঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ১২ হাজার পুলিশ তৈরি রাখছেন তাঁরা। এর মধ্যে ১২ জন বর্ষীয়ান আধিকারিক, ৩৯ জন ডিএসপি, ৮৬ জন ইনস্পেক্টর, ৬,৬৭৩ জন কনস্টেবল এবং ৭০০ জন উর্ধ্বতন অফিসার থাকবেন। ১২৯ জন মহিলা কনস্টেবলকেও তৈরি রাখা হচ্ছে। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে পাঁচ হাজারেরও বেশি পুলিশ থাকবেন।
করাচির বাসিন্দা মহম্মদ তাহা অতীতের সঙ্গে বর্তমানের পার্থক্য খুঁজে বার করেছেন। বলেছেন, “সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার সময়ে সব বড় রাস্তা বন্ধ ছিল। স্টেডিয়ামের ধারেকাছে কেউ যেতে পারত না। এ বারও নিরাপত্তা রয়েছে। তবে আগের বারের থেকে অনেক আলাদা।”
সমর্থকদের সুবিধার জন্য পাকিস্তান এয়ারলাইন্স বিশেষ বিমান চালাচ্ছে। করাচি, ইসলামাবাদ এবং লাহোরের মধ্যে বিমানগুলি চলবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :