ডোপ করার অপরাধে ইয়ানিক সিনারকে নির্বাসিত করা হয়েছে। টেনিসে এখন তিনিই সিঙ্গলসে পুরুষদের মধ্যে এক নম্বর। সিনার না থাকায় সেই জায়গাটাই আবার নিতে চাইছেন কার্লোস আলকারাজ। এক সময় তিনি এক নম্বরে ছিলেন। এখন তিনি তিন নম্বরে।
গত মাসেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন সিনার। সেই সাফল্যের পরেই ডোপ কেলেঙ্কারিতে তিন মাস নির্বাসিত তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার ২১ দিন পরে ধাক্কা বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার।
আলকারাজ বলেন, “সিনার খেলুক না খেলুক আমাদের ভাল খেলতে হবে। এক নম্বর হওয়াটাই লক্ষ্য। আরও অনুশীলন করতে হবে। আরও উন্নতি করতে হবে। আগামী প্রতিযোগিতায় ভাল খেলে নিজের সেরাটা দিতে হবে। তাতেই এক নম্বর যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।”
সিনারের থেকে ৩৩২০ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন আলকারাজ। কাতার ওপেন খেলছেন স্পেনের টেনিস তারকা। এর আগে তিনি এটিপি রটারড্যাম জিতেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন আলকারাজ। সেই ম্যাচে তাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নোভাক জোকোভিচ।
গত বছর থেকে সিনারের বিরুদ্ধে ডোপ কেলেঙ্কারির মামলা চলছিল। সেই মামলায় বিশ্বের ডোপ বিরোধী সংস্থা ‘বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি’ (ওয়াডা) আবেদন করেছিল বিশ্ব ক্রীড়া আদালত (ক্যাস)-এ। সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। বিশ্ব ক্রীড়া আদালতে শুনানির আগেই ওয়াডার সঙ্গে কথা বলেছেন সিনার। নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাই ওয়াডা তাকে তিন মাসের জন্য নির্বাসিত করেছে। অর্থাৎ, বিশ্ব ক্রীড়া আদালতে আর সিনারের মামলার শুনানি হবে না।
২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ সেই ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘টেনিসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এই ঘটনায়। আমার সঙ্গে অনেক খেলোয়াড়েরই কথা হয়েছে। শুধু গত কয়েক দিন ধরে নয়, কয়েক মাস ধরে। সিনারের ব্যাপারটা যে ভাবে সামলানো হয়েছে তাতে একেবারেই খুশি নয় তারা।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই মনে করে এই ঘটনায় পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। যেন নামী কোনও খেলোয়াড় হলেও ফলাফলের উপরে প্রভাব ফেলা যায়।’’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :