ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ দুর্দান্ত সূচনা করেছে। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে পরাজিত করেছে রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া। শুভমন গিলের অপরাজিত সেঞ্চুরি এবং মহম্মদ শামির পাঁচ উইকেট দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। যা সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচনার মুখে থাকা টিম ইন্ডিয়ার উপর থেকে কিছুটা চাপ কমিয়েছে।
তবে ম্যাচটি আবারও দেখিয়ে দিল যে ভারতের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে। সম্প্রতি, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। দুজনেই সম্প্রতি রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছিলেন, কিন্তু উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সময়ও তারা ছন্দ খুঁজে পাননি। রোহিত ৩৬ বলে ৪১ রান করেন, যেখানে সাতটি চার মেরে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, কোহলি ৩৮ বলে মাত্র ২২ রান করেন, যেখানে তিনি কেবল একটি চার মেরেছিলেন। তার ইনিংস দেখে মনে হচ্ছিল, আরসিবির এই তারকা ব্যাটসম্যান তার সেরা ফর্ম থেকে অনেক দূরে রয়েছেন।
ESPNCricinfo-তে কথা বলতে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং প্রধান কোচ অনিল কুম্বলে মনে করেন, গৌতম গম্ভীরকে এই টুর্নামেন্টের পর ‘লিগ্যাসি প্লেয়ারদের’ ভবিষ্যৎ নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের গুরুত্ব বিবেচনা করে অনিল কুম্বলে মনে করেন, এই টুর্নামেন্টের ফলাফল নির্ধারণ করবে সিনিয়র খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। বিশেষ করে রোহিত, কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা ও মহম্মদ শামির ক্ষেত্রে।
অনিল কুম্বলে বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট কোচের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাঁকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের থেকে নতুনদের দিকে স্থানান্তর করা। কিন্তু এটাই কোচের কাজ, তাঁকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
কুম্বলে আরও বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে যে সিনিয়ররা কতদিন দলে থাকবেন, আর ভারত কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেবে। জয় বা পরাজয় যাই হোক, কঠিন সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হবে। সাদা বলের ক্রিকেটে বিশেষ করে ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করা দরকার।’
অনিল কুম্বলে আরও বলেন, গম্ভীরের উচিত দলে তরুণ খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য ভারত যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারে।
কুম্বলে বলেন, ‘যে কোনও বিশ্বকাপে, আপনি এমন একটি স্কোয়াড তৈরি করতে চান, যারা কমপক্ষে ২০-২৫টি ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছে। তাতেই ম্যাচ পরিস্থিতির স্বাভাবিক বোঝাপড়া তৈরি হয়, এবং বোঝা যায় কাকে কখন নির্ভর করা যায়। আদর্শভাবে, এই টুর্নামেন্টের পর থেকেই পরবর্তী বিশ্বকাপের দিকে নজর দেওয়া উচিত। সিনিয়ররা কি সেখানে জায়গা পাবেন? নাকি আমরা তরুণদের সুযোগ দেব দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে? এগুলোই গম্ভীরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :