যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন তারা। মুম্বাইয়ে বান্দ্রার ফ্যামিলি কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল চাহালদের। সেখানেই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কেন বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাদের?
এবিপি নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আদালতে চাহালদের বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় ৪৫ মিনিটের শুনানি হয়। সেখানেই চাহাল এবং ধনশ্রী জানান যে, তারা বিবাহবিচ্ছেদ চাইছেন। গত ১৮ মাস ধরে আলাদা থাকছেন বলেও জানিয়েছিলেন চাহাল এবং ধনশ্রী। বোঝাপড়ার অভাবের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন তারা। আদালত তাদের আবেদন মেনে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত জানিয়ে দেয় যে, এখন থেকে চাহাল এবং ধনশ্রী আর স্বামী-স্ত্রী নন।
বেশ কিছু দিন ধরেই চাহালদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। আদালতে হাজিরা দিলেই বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। তারা ইতিমধ্যেই আলাদা থাকেন। সমাজমাধ্যম থেকেও নিজেদের একসঙ্গে তোলা ছবি সরিয়ে দিয়েছেন তারা। ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আর ফলো করেন না চাহাল এবং ধনশ্রী।
বৃহস্পতিবার ইন্সটাগ্রামে চাহাল লিখেছিলেন, “ঈশ্বর আমাকে কত বার রক্ষা করেছেন তা আমি গুণে শেষ করতে পারব না। আমি শুধু ভাবি, অজান্তে কত বার ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন। সবসময় সহায় হওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।” পোস্ট করেছেন ধনশ্রীও।
তিনি লিখেছিলেন, “চাপ মুক্তি। ঈশ্বর আমাদের চিন্তাকে কেমন আশীর্বাদে বদলে দেন। কী অদ্ভুত না? তুমি নয় চিন্তা করবে, নয় তো ঈশ্বরের উপর সব ছেড়ে দেবে। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখলে তিনি সব ঠিক করে দেন।”
এক সময় জানা গিয়েছিল ধনশ্রী নাকি চাহালের থেকে ৬০ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ধনশ্রীর পরিবার।
পরিবারের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা অত্যন্ত বিরক্ত, যা কিছু লেখা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। খোরপোশের নামে যে রটনা তা একেবারেই সত্য নয়। এমন কোনও অর্থ চাওয়া হয়নি। ওরাও তেমন কিছু দিতে চায়নি। এই গুজবের সঙ্গে সত্যের কোনও যোগ নেই। এতে ক্ষতি ছাড়া কারও উপকার কিছুই হচ্ছে না।”
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :