ওয়ানডে ক্রিকেটে আবারও নিজেদের সেরা রূপে ফিরতে যত দ্রুত সম্ভব স্ট্রাইক রোটেশন সমস্যা সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের ব্যর্থতার জন্য স্ট্রাইক রোটেশন সমস্যাকে দায়ী করেছেন শান্ত। গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় টাইগারদের।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর শান্ত বলেন, ‘স্ট্রাইক রোটেশন সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের নেটে সঠিকভাবে অনুশীলন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্ট্রাইক রোটেশন নিয়ে ভাবতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি আশা করছি আমাদের কারণীয় সম্পর্কে সবাই বুঝতে সক্ষম হবে।
ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ইনিংসে ১৫৯টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ম্যাচ ৬ উইকেটে হেরে যায় শান্তর দল।নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ডট বলের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। এ ম্যাচে ডট বলের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮১টি । ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান করে পাঁচ উইকেটে হার মানে টাইগাররা।
দুই ম্যাচেই ৩শর বেশি রান করার মত ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল। কিন্তু ৩শ রানের কাছাকাছিও যেতে পারেনি বাংলাদেশ।দুই ম্যাচে ৩৪০ বল ডট হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ডট বল ৫০ শতাংশও কম হলে দু’ম্যাচেই দলের রান ৩৫০এর কাছাকাছি যেতে পারত।
শান্ত বলেন, ‘ভালোভাবে স্কোরবোর্ড সচল রাখা জরুরি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে শান্ত বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাচ্ছেন। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হওয়ায় এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে করা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন শান্ত।
বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে এবারের আসর শেষ করেছে টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মিডল অর্ডারে উইকেট পতনের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে শান্ত বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমরা যেভাবে লড়াইয়ে ছিলাম তাতে দু’টি ম্যাচ আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি আমরা ভুল থেকে শিখতে পারব। আমরা একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করব এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।’
ব্যাটাররা নিজেদের সেরাটা দিতে না পারলেও বোলাররা আবারও তাদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। শান্ত বলেন, ‘আমরা সবসময় বোলিং নিয়ে সমস্যায় পড়তাম। বিশেষ করে পেস বোলিংয়ে। তবে গত কয়েক বছরে অনেক পেসার উঠে এসেছে। দেশে থাকা কয়েকজন পেসারও নিজেদের কাজটা দারুণভাবে করছে। তাসকিন, রানা ভালো বোলিং করছে। পাশাপাশি ফিজও (মুস্তাফিজুর রহমান) আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণ খুব ভাল। আমি আশা করি তারা ঠিকমতো কাজ করবে এবং দলের জন্য সেরাটা দিবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :