২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত তাদের প্রথম একাদশে বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্তের জায়গায় কেএল রাহুলকে দলে রাখছে। এর পিছনে একটি কারণও রয়েছে। আসলে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে রাহুল মিডল অর্ডারে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। সেই সঙ্গে পন্তের অনুপস্থিতিতে তিনি উইকেটকিপিং-টাও দক্ষতার সঙ্গেই করেছিলেন।
যে কারণে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পন্তের চেয়ে রাহুলকেই এগিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচের সময় তাঁর কিপিং নিয়ে হতাশ বিরাট কোহলি এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
দুবাইয়ের মন্থর এবং নিম্ন ট্র্যাকে ২৪৯ স্কোর রক্ষা করে ম্যাচ জিততে ভারত মরিয়া ছিল। আর টিম ইন্ডিয়ার এই ভাবনাকে পরিণতি দিতে স্পিনাররা বড় দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ভারতীয় স্পিনারদের সৌজন্যে মাঝের ওভারগুলিতে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি মন্থর হয়ে যায়। তবে নিউজিল্যান্ডকে অক্সিজেন দিয়ে চলেছিলেন কেন উইলিয়ামসন। তিনি ৮১ রান করে একা হাতে ম্যাচর রং প্রায় বদলেই দিচ্ছিলেন। আর এর দায় এড়াতে পারবেন না উইকেটকিপার রাহুল।
ম্যাচের ১১তম ওভারের শেষ বলেই উইলিয়ামসনকে আউট করার বড় সুযোগ পেয়েছিল ভারত। তখন কিউয়ি তারকা ২১ বলে ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন। অক্ষর প্যাটেলের বলটি কাট করতে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। ব্যাটের মাঝ বরাবর লেগে ক্যাচ ওঠে। কিন্তু সেই ক্যাচ রাহুলের গ্লাভস থেকে ফস্কে যায়। জীবনদান পান উইলিয়ামসন। এর পর ৩৫তম ওভারের শেষ বলে ফের সুযোগ দিয়েছিলেন উইলিয়াসন। যদিও এবারের ক্যাচটি তুলনামূলক কঠিন ছিল। রবীন্দ্র জাদেজার বল উইলিয়ামসনের ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ ওঠে। কিন্তু রাহুল সেই ক্যাচটিও মিস করে বসেন।
আর বারবার রাহুলের এমন ক্যাচ মিসের ঘটনায় ক্ষেপে লাল হয়ে যান রোহিত শর্মা। বিরক্ত দেখায় বিরাট কোহলিকে। রাহুল যে ব্যাট হাতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন, তা নয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যখন উইকেট পড়ছিল ভারতের, সেই সময়ে ছয়ে নেমে ২৯ বলে ২৩ করে তিনি আউট হয়ে যান। রাহুল ক্রিজে থাকলে ভারতের আরও কিছু রান হতে পারত। আরর এর পরেই নেটিজেনরা প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের কাছে অনুরোধ করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন সেমিফাইনাল ম্যাচে রাহুলকে বাদ দিয়ে ঋষভ পন্তকে যেন একাদশে রাখা হয়। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে টিম ইন্ডিয়া মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :