চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বাংলাদেশের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ ২০২৭ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরি করা। হাতে সময় আছে ২ বছর। ওয়ানডে ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রতিটা ম্যাচের মূল্যই এখন অনেক বেশি। ফলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নতুনদের সুযোগ দেয়ার এটাই বাংলাদেশের জন্য মোক্ষম সময় বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াসিম জাফররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রিয়াদ-মুশফিকদের দেখে তার অবাক হয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যেই আলোচনায় এখন এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের অবসর প্রসঙ্গ। বয়স ও ফর্মের কথা চিন্তা করলে জাতীয় দলে রিয়াদ-মুশফিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে। তবে এই দুই সিনিয়রের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাদের ওপরেই ছেড়ে দিতে বলছেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান।
বুধবার (৫ মার্চ) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সেখানেই অন্যান্য প্রসঙ্গের পাশাপাশি রিয়াদ-মুশফিকের অবসর প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
আকরাম খান বলেন, ’একটা জিনিস প্রথমে আমি মনে করি যে, যারা সিনিয়র প্লেয়ার আছে তাদের সবাইকে সম্মান করা উচিত। খেলোয়াড়রাই বলতে পারবে একমাত্র ওর ফিটনেস, বা প্রেসার কিভাবে খেলাটা নিচ্ছে। একটা খেলোয়াড়ই বুঝতে পারে তার ভবিষ্যৎ কি অবস্থা। সবকিছু মিলে আমাদের খেলোয়াড়দের উপর ছেড়ে দেয়া উচিত, সিদ্ধান্তটাও ওরাই নিক। এবং যদি বেশি সমস্যা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট আছে খেলোয়াড়ও আছে ওরা বসে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আমার মনে হয় এটা নিয়ে বাইরে আলাপ আলোচনা করা সম্মানজনক দেখায় না।’
রিয়াদ-মুশফিক ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। গত সোমবার (৩ মার্চ) বিসিবির বোর্ড মিটিং শেষে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তাদের প্রমাণ করতে হবে। তাদের বয়সের দিক থেকে বলি, তাদের ফিটনেসের দিক থেকে বলি, তাদের পারফরম্যান্সের দিক থেকে বলি— এটা আমার কল না, এটা নির্বাচকদের কল। আমার মন্তব্য করাটা ঠিক না। কিন্তু খেলাটা সহজ হবে না।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :