আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নবম আসরের ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। আজ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ৫০ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
লাহোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানের সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। জুটিতে ২১ রান অবদান রেখে আউট হন ওপেনার উইল ইয়ং।
দ্বিতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন রাচিন-উইলিয়ামসন জুটি ১৫৪ বলে ১৬৪ রান যোগ করেন। জুটি গড়ার পথে ৯৩ বলে ওয়ানডেতে পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাচিন। ক্যারিয়ারের সবগুলো ওয়ানডে শতক আইসিসি ইভেন্টে করেছেন তিনি। আইসিসি ইভেন্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ সেঞ্চুরির মালিকও এখন রাচিন।
সেঞ্চুরির পর পেসার কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০১ বলে ১০৮ রানে আউট হন রাচিন।
এরপর ড্যারিল মিচেলের সাথে ৩৯ রান যোগ করার পথে ৯১ বলে ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি করেন উইলিয়ামসন। সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার পরপরই উইয়ান মুল্ডারের শিকার হন তিনি। ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৪ বলে ১০২ রান করেন উইলিয়ামসন।নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একই ইনিংসে দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরির ক্ষেত্রে এটি ষষ্ঠ ঘটনা।
দলীয় ২৫১ রানের মধ্যে রাচিন ও উইলিয়ামসন ফেরার পর নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। পঞ্চম উইকেটে মিচেলের সাথে ৩০ বলে ৫৭ এবং ষষ্ঠ উইকেটে ব্রেসওয়েলকে নিয়ে ২২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন ফিলিপস। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬২ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।৪টি চার ও ১টি ছক্কায় মিচেল ৩৭ বলে ৪৯, ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ফিলিপস ২৭ বলে অপরাজিত ৪৯ এবং ১২ বলে ১৬ রান করেন ব্রেসওয়েল।দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিডি ৩টি ও রাবাদা ২টি উইকেট নেন।
জবাবে ২০ রানে উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হবার পর দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রান যোগ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার তেম্বা বাভুমা ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি করেন। বাভুমা ৫৬ ও ডুসেন ৬৯ রান করেন।
দলীয় ১৬১ রানের মধ্যে বাভুমা-ডুসেনের বিদায়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একাই লড়াই করেন ডেভিড মিলার। সতীর্থরা সঙ্গ দিতে না পারায় ২৫৬ রানে নবম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এসময় অন্যপ্রান্তে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মিলার।
এরপর শেষ উইকেটে লুঙ্গিকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড বোলারদের উপর চার-ছক্কার ঝড় বইয়ে দেন মিলার। ইনিংসের ৪৯তম ওভার শেষে তার রান গিয়ে দাঁড়ায় ৮২।পেসার কাইল জেমিসনের করা শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ১৬ রান তুলে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান মিলার। শেষ বলে ২ রান নিয়ে ওয়ানডেতে সপ্তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।লুঙ্গির সাথে ২৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রান যোগ করে দলের হার এড়াতে পারেননি মিলার। ৯ উইকেটে ৩১২ রান পর্যন্ত যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিলার ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৭ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার ৩টি উইকেট নেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :