আবারও ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ফিরলেন! ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে একাধিক স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী তিনি। শাস্ত্রীর কোচিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের স্মৃতির ঝোলায় উজ্জ্বল পরপর অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জয়। ধারাভাষ্যকার হিসেবে দুরন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন শাস্ত্রী। কোচিংয়ের কারণে বেশ কিছু বছর ধরা হয়নি মাইক্রোফোন। তবে এখন আবার তিনি মাইক্রোফোন হাতেই ঝড় তুলছেন।
ভারতীয় দলের সঙ্গে তার কোচ হিসেবে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও, শাস্ত্রীর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পর্কে একটুও ভাটা পড়েনি। ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় থেকে টিম ইন্ডিয়ার সাজঘরে শুরু হয়েছে এক নতুন রীতি, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের তত্ত্বাবধানে, খেলা শেষে ম্যাচের সেরা ফিল্ডারকে পরিয়ে দেওয়া হয় বিশেষ পদক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে রোহিত শর্মার ভারত মুখোমুখি হয়েছিল স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়ার। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলেছিল। জবাবে ভারত ১১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে মহাযুদ্ধ জিতে ফাইনালে চলে যায়। সেমির সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করতে ভারতীয় সাজঘরে ঢুকে পড়েছিলেন রবি শাস্ত্রী।
রোহিতদের ড্রেসিংরুমে এসেই তিনি মাতিয়ে দেন। একেবারে কমেন্ট্রি করতে করতে ঢোকেন তিনি, বলেন, `ব্যক্তিগত দক্ষতা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট স্তরে নিয়ে যাবে, তবে সম্মিলিত দলীয় প্রচেষ্টাই ফিনিশিং লাইন পার করাবে।সেমিফাইনালে দুই চ্যাম্পিয়ন খেলেছে। চাপের খেলায় চরিত্র ফুটে উঠেছে দলীয় প্রচেষ্টায়। মাঠে উজ্জ্বলতার ঝলকানি ফারাক গড়ে দিয়েছে। আর এটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট`, শাস্ত্রীর কথা শেষ হওয়ার পরেই হাততালিতে ফেটে পড়ে ভারতীয় সাজঘর।
নেটদুনিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে ভারতীয় দলের তরফে। শ্রেয়স আইয়ার, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাদেজা মনোনীত হয়েছিল সেরা ফিল্ডার হিসেবে। তবে অ্যালেক্স ক্যারেকে অসাধারণ রানআউট করায় আইয়ারই জিতে নিয়েছেন পুরস্কার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :