একটি অলিম্পিক বা প্যারালিম্পিক দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেই অবসরকালীন ভাতা হিসাবে মিলবে ২ লাখ ডলার। টাকায় যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ। ক্রীড়াবিদদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিল ইউএস অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি।
রোজ স্টিভেন্স নামে জনৈক এক ক্রীড়াপ্রেমী আমেরিকার অলিম্পিক্স সংস্থাকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭৩৮ কোটি টাকা দান করেছেন। অলিম্পিয়ানদের অবসরকালীন ভাতা হিসাবে তার দান ব্যবহারের অনুরোধ করেছেন। স্টিভেন্সের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার অলিম্পিক সংস্থা।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অন্তত একটি অলিম্পিক বা প্যারিলিম্পিক দেশের প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়াড়েরা অবসরকালীন ভাতা হিসাবে ২ লাখ ডলার পাবেন। প্রতিটি গেমসের জন্য ২ লাখ ডলার করে দেওয়া হবে। এই অর্থ দেওয়া হবে দু’টি ভাগে। অবসর নেওয়ার পর অবসরকালীন ভাতা হিসাবে তারা চারটি কিস্তিতে ১ লাখ ডলার (প্রায় ৮৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা) পাবেন। মৃত্যুর পর বাকি ১ লাখ ডলার পাবেন তাঁর নিকট আত্মীয়েরা।
প্রতিটি অলিম্পিক বা প্যারিলিম্পিক দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ২ লাখ ডলার করে পাবেন খেলোয়াড়েরা। কেউ তিনটি অলিম্পিক বা প্যারিলিম্পিক দেশের প্রতিনিধিত্ব করলে ৬ লাখ ডলার অবসরকালীন ভাতা পাবেন। ৩ লাখ ডলার (প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার টাকা) অবসরের পর চারটি কিস্তিতে দেওয়া হবে। বাকি অর্ধেক অর্থ নিকট পরিজনেরা পাবেন সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের মৃত্যু হলে।
এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য শর্ত রয়েছে। প্রথমত, সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে অবশ্যই অবসরপ্রাপ্ত হতে হবে। দ্বিতীয়ত, অলিম্পিক বা প্যারিলিম্পিক প্রথম বার দেশের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে অন্তত ২০ বছর অতিক্রান্ত না হলে এই টাকা পাওয়া যাবে না। অথবা সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের বয়স ৪৫ বছর বা তার বেশি হতে হবে। এই দু’টি ক্ষেত্রের যেটি পরে হবে, সেটিই বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ কেউ ৩০ বছর বয়সে প্রথম বার আমেরিকার হয়ে অলিম্পিক বা প্যারিলিম্পিক নামলে ভাতা পাওয়ার জন্য তার বয়স হতে হবে ৫০ বছর। আবার কেউ ২০ বছর বয়সে প্রথম অলিম্পিক বা প্যারিলিম্পিক দেশের প্রতিনিধিত্ব করলে এবং ৪০ বছর বয়সে অবসর নিলে, তাকে ৪৫ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আমেরিকার অলিম্পিক সংস্থার প্রধান জেন সিকেস বলেছেন, ‘‘ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ নিজেদের জীবন খেলাধূলার জন্য উৎসর্গ করেন। তারা অন্য কোনও কাজ করেন না। আয়ের অন্য কোনও উৎস তাদের থাকে না। অনেকেই ২৫ বা ৩০ বছর বয়সে এসে আর্থিক সমস্যায় পড়েন। অনেকেই খেলোয়াড়জীবনে ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করে উঠতে পারেন না। নতুন এই প্রকল্প আমাদের খেলোয়াড়দের আরও নিশ্চিন্তে পারফর্ম করার সুযোগ করে দেবে।’’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :