অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে একেবারে প্রথম বলেই ট্র্য়াভিস হেডের ফিরতি ক্যাচ ছাড়েন মহম্মদ শামি। শূন্য রানে জীবনদান পেয়ে হেড ৩৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন।
সেই ম্যাচেই ২১.৪ ওভারে শামির বলে স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন স্টিভ স্মিথ। যদিও বল মাঝ ব্যাটে যথাযথ কানেক্ট হয়নি। বল উড়ে যায় বোলার শামির দিকেই। বলে হাত লাগালেও তা তালুবন্দ করতে পারেননি শামি। হাতে লেগে বল পড়ে যায় মাটিতে। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে জীবনদান পেয়ে স্মিথ ৭৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। ভারত ম্যাচ জেতায় সেমিফাইনালে শামির জোড়া ক্যাচ ছাড়ার মাশুল দিতে হয়নি রোহিতদের।
এবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ফের একই ভুলে পুনরাবৃত্তি করেন শামি। এবার নিজের বলে রাচিন রবীন্দ্রর ফিরতি ক্যাচ ছাড়েন টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার। একা শামিই নন, রাচিনের ক্যাচ ছাড়েন শ্রেয়স আইয়ারও। পরপর ২ ওভারে দু`বার জীবন পান রবীন্দ্র।
রবিবার দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা রীতিমতো আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করে। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়ংয়ের ওপেনিং জুটিতে নিউজিল্যান্ড ৭ ওভারেই দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায়।
ইনিংসের ৬.৩ ওভারে শামির বলে সোজা শট খেলে বসেন। শটে গতি ছিল না। বল হাওয়ায় ভেসে যায় বোলার শামির দিকে। ভারতীয় পেসার বলে হাত লাগালেও ক্যাচ ধরতে পারেননি। ফাইনালে ব্যক্তিগত ২৮ রানে প্রথমবার জীবনদান পান রবীন্দ্র। বল লাগার পরে শামির হাত থকে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। তিনি তড়িঘড়ি ফিজিওকে মাঠে ডেকে শুশ্রুষা নেন। ওভার শেষ করে ডাগ-আউটেও ফিরতে দেখা যায় শামিকে।
ঠিক পরের ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বলে রাচিন রবীন্দ্রর ক্যাচ ছাড়েন শ্রেয়স আইয়ার। ৭.১ ওভারে বরুণের বলে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করেন রাচিন। বল গগনে উঠে যায়। ডিপ মিডউইকেট থেকে দৌড়ে এসে শ্রেয়স বলেন নীচে পৌঁছে যান। তবে ক্যাচ ধরতে পারেননি। বল তাঁর হাতে লেগে মাটিতে পড়ে যায়। ফলে ব্যক্তিগত ২৯ রানের মাথায় ফের জীবনদান পান রবীন্দ্র।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :