২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হঠাৎ ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর নাড়িয়ে দেয় সারা বিশ্বকে। অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি অবহেলা ছিল তার চিকিৎসকদের, এমন প্রশ্ন ওঠে এরপর। শেষ দিনগুলোতে ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন যে আটজন চিকিৎসক, তাদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অপরাধের অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১১ মার্চ)।
ম্যারাডোনার মৃত্যু মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সপ্তাহ দুয়েক পর। বুয়েনস এইরেসের এক অভিজাত এলাকায় একটা ভাড়া করা বাড়িতে থাকতেন আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ও সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। মৃত্যু হয়েছিল হার্ট অ্যাটাকে। ম্যারাডোনা কোকেইন ও অ্যালকোহল আসক্তির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই নানান সমস্যায় ভুগছিলেন।
এই মামলায় অভিযুক্তদের একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগবিশেষজ্ঞ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো–অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো–অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক এবং রাতের পালার নার্স। দিনের বেলায় ম্যারাডোনাকে দেখভাল করতেন যে নার্স, তাঁর বিচার করা হবে আলাদাভাবে। সরকারি কৌঁসুলিরা দাবি করছেন, এই চিকিৎসক দল ম্যারাডোনাকে বাড়িতে চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন, যা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং ‘সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসূত’ সিদ্ধান্ত।

এই সাত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলা প্রমাণ হলে তারা ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাবাসের শাস্তি পেতে পারেন। অভিযোগ উঠে, তারা চিকিৎসাকালীন এমন একটি পদক্ষেপ অনুসরণ করার জন্য দায়ী যা তারা জানতো ফুটবলারের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এদিকে বুয়েনোস আইরেসের সান ইসিদ্রো শহরতলীতে দীর্ঘ বিলম্বিত বিচারে ম্যারাডোনার পরিবারের সদস্য এবং বছরের পর বছর তার চিকিৎসা করা ডাক্তারসহ ১০০ জনেরও বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে। শুনানি জুলাই পর্যন্ত চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে প্রায় একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেন ম্যারাডোনা। এরপর দুনিয়াব্যাপী বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। আর্জেন্টিনার ফুটবলের সমর্থক হয়ে উঠে তার নাম।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :