স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরোজয়ী ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও দুর্নীতির মামলা চলছে। সে মামলার শুনানিতে কেঁদে ফেলেছেন সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডার।গত কয়েক বছর ধরেই স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের টুর্নামেন্টে সুপার কাপ সৌদি আরবে আয়োজিত হচ্ছে। আর এ চুক্তির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে পিকের প্রতিষ্ঠান কসমস। এই চুক্তি করে দেওয়ার জন্য নাকি অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন পিকে।
সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানিয়েছে, স্প্যানিশ ফেডারেশন ও সৌদি আরবের মধ্যকার এই চুক্তি করে দিয়ে ১ কোটি ইউরো (১৩২ কোটি টাকার বেশি) কমিশন পেয়েছে কসমস। এর মধ্যে এই বছরের শুরুতে পিকে নিজেই পেয়েছেন ১৬ লাখ ইউরো। এই মামলায় ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুই রুবিয়ালেসও জড়িত।
নারী ফুটবলারকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও চুমু খাওয়া ও যৌন নিপীড়নের কারণে পদচ্যুত এই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আছে। তবে শুনানিতে কোনো ধরনের অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন পিকে। চুক্তির সময় পিকে নিজেই বার্সেলনার জার্সিতে খেলতেন-এর সঙ্গে নাকি চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত বলছে, পিকে স্বীকার করেছেন সৌদি কর্তৃপক্ষ তাঁর অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি নিজেই রুবিয়ালেসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে অর্থ আদায় করে নিয়েছিলেন। খেলোয়াড়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের এমন চুক্তি নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় এমন কিছু যেন আর কখনো না হয়, সে ব্যাপারে আইন করেছে ফেডারেশন।
এদিকে শুনানিতে পিকে নাকি আবেগি হয়ে পড়েছিলেন। বার্সেলোনা কিংবদন্তি নাকি প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন। কাঁপা কাঁপা স্বরে এই ফুটবলার বলেছেন, এই মামলা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছে। ব্যক্তিগত ও পেশাদারি জীবনেও ভয়ংকর ক্ষতি করেছে এই মামলা। দাবি করেছেন ফেডারেশনের জন্য সম্ভাব্য সেরা ডিলটাই করেছেন এবং এ জন্য তাঁকে যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে সেটা প্রাপ্য নয়। দাবি করেছেন, ফুটবলার হিসেবে তাঁর অর্জনের কথা ভুলে যাচ্ছে তাঁর দেশ, ‘অন্য দেশ হলে আমার মূর্তি বানাত।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :