২০২৫ আইপিএল আর কদিন পরই শুরু হয়ে যাচ্ছে। এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়েছে খেলতে নামবেন না যুজবেন্দ্র চাহাল। এবারে তাকে পাঞ্জাব কিংস দল বিপুল ১৮ কোটি টাকায় নিয়েছে দলে। যদিও এত দাম দিয়ে চাহালকে কেনায় অনেকে মনে করছেন পাঞ্জাব হয়ত ভুল করে ফেলেছে। কারণ চাহাল বর্তমানে ভারতের তিনটি ফরম্যাটের দলের একটিতেও সুযোগ পাননা।
যদিও যুজবেন্দ্র চাহাল নিজে কিন্তু এই দামের জন্য নিজেকে যোগ্য বলেই মনে করছেন। ১৮ কোটি টাকায় পাঞ্জাব কিংসে খেলা এই ক্রিকেটার দাবি করেছেন, তিনি এত দাম পাওয়ার পর নিজেকেও এই একই প্রশ্ন করেছিলেন, এরপর নিজের কাছে তিনি নিজেই উত্তর পেয়ে গেছেন।
চাহাল বলছেন, ‘আমি প্রথম কয়েকটা মিনিট নিলাম দেখিনি, কারণ আমি কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম। নিলাম অবশ্য এরকমই হয়। বোঝা যায় না, কোন দলে কত টাকায় কে যাবে। অনেক ভাবনাই মাথার মধ্যে ঘুরছিল। আমি খুশি যে এখানে সই করতে পেরেছি। নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এই দামের জন্য আমি যোগ্য কিনা। তখন কিন্তু আমি নিজের কাছে উত্তর পেয়েছি, যে আমি এই দাম পাওয়ার যোগ্য ’।
চাহাল আরও বলছেন, ‘আমার কাছে বোলিংয়ে চার রকমে ভ্যারিয়েশন আছে। আমি লেগ স্পিনের পাশাপাশি দু রকমের গুগলি করতে পারি, ফ্লিপারও দিতে পারি। আমি নিজের বোলিংয়ের ওপর যথেষ্ট ভরসা করি। ম্যাচে খেলার সময় পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই আমাদের ভাবনা চিন্তা করতে হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় দলের কোনটা বেশি প্রয়োজন, উইকেট নাকি রানের গতি কমানো ’।
এরপরই রাজস্থান রয়্যালসের প্রাক্তন এই স্পিনারকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর খেলা সব থেকে কঠিন ব্যাটার আইপিএলে কারা? তখন চাহাল জানান, ‘প্রথমজন তো হেনরিখ ক্লাসেন, আরেকজন হচ্ছে নিকোলাস পুরান। ওদের এত জোর রয়েছে যে অনেক সময় ব্যাটের কানায় লেগেও বল ছয় হয়ে যায়। আমি ওদের বিরুদ্ধে অনেক ছয় খেয়েছি, উইকেটও নিয়েছি। তাই ওরাই আমার বোলিংকে সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জ করে ’।
এরপর অবশ্য চাহাল বলছেন, ‘আমি যখন বোলিং করি তখন ব্যাটারের নাম দেখি না। কারণ ব্যাটারকে বেশি সম্মান দিলে সেটা নিজের ওপরই চাপ তৈরি করে। আমার হাতে বল রয়েছে, তাঁদের হাতে ব্যাট রয়েছে। আমার লড়াই আমাকেই জিততে হবে। আমার উচ্চতাও খুব বেশি নয়। তাই আমি মাথা খাটিয়েই কাজ করি। সেটার ওপরই আমি ফোকাস করি ’।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :