বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে গতকাল বাংলাদেশে এসেছেন হামজা চৌধুরী। তার পাশাপাশি আসার কথা ছিল আরেক প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামেরও। সৌদি আরবে জামালদের সঙ্গে ক্যাম্পে ছিলেন ইতালি প্রবাসী তরুণ ফুটবলার। অনুশীলনেও দারুণ খেলেছেন তিনি। কিন্তু তাকে দেশে আনা হয়নি। সৌদি থেকেই ইতালিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাকে। এ নিয়ে দেশের ফুটবল অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
এবার ফাহমিদুলকে না আনার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সৌদি থেকে দেশে ফিরে তিনি বলেন, ‘ফাহমিদুল ঢাকা আসেনি। সে সৌদিতে এক সপ্তাহ আমাদের সঙ্গে ক্যাম্পে ছিল। সে মেধাবী খেলোয়াড় তবে আরো কিছু সময় প্রয়োজন। ’
অথচ ইতালিয়ান ফুটবলে ৪র্থ ডিভিশনে খেলা ফাহমিদুলকে খুঁজে বের করেছিলেন কাবরেরাই। তার ইচ্ছাতেই সৌদির ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল ১৮ বছর বয়সী এই উদীয়মান ফুটবলারকে। এমনকি অনুশীলনে গোলের হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। এমন একজন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়ায় হতাশ সমর্থকরা।
ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ায় দেশের সকল ফুটবল ফ্যানব্যাজ মিলে বাফুফে ভবনের সামনে একত্রিত হয়েছে। আন্দোলনরত সমর্থকদের দাবি, ফুটবলের সিন্ডিকেটের কারণেই ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকেও রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেশের ফুটবল সমর্থকদের গ্রুপ বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস এবং সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বাফুফে ভবন সামনে `লং মার্চ টু বাফুফে` নামের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবলের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে `স্ট্যান্ড উইথ ফাহমিদুল` হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন। ফাহমিদুল যোগ্য হওয়ার পরও তাকে দলে নেওয়া হয়নি বলে দাবি আন্দোলনরত সমর্থকদের। হামজা চৌধুরীর সঙ্গে ফাহমিদুল থাকলে দলের শক্তি বহুগুণ বেড়ে যেতো বলে মনে করেন তারা। কোনো ফুটবলারকে দলে নেওয়ার জন্য সমর্থকদের আন্দোলনের এমন নজির বাংলাদেশের ফুটবলে আর নেই।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :