কিছু দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ শামি আইসিসি-কে অনুরোধ করেছিলেন, বলে থুতু লাগানোর নিয়ম ফিরিয়ে আনার জন্য। আইসিসি সে ব্যাপারে কিছু না জানালেও ভারতীয় বোর্ড (বিসিসিআই) বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছে। সব ঠিক থাকলে বলে থুতু লাগানোর নিয়ম আবার ফিরে আসতে পারে আগামী আইপিএল থেকেই। বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানানো হতে পারে।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বলে থুতু লাগানোর বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের অন্দরে অনেক আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অধিনায়কদের নিয়ে ‘ক্যাপ্টেন্স মিট’-এ বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। বোর্ডের এক সূত্র বলেছেন, “কোভিডের আগে পর্যন্ত বলে থুতু লাগানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না। এখন সংক্রমণের ভয় আর নেই। তাই আইপিএলে থুতু নিয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”
তাঁর সংযোজন, “আমরা জানি লাল বলের ক্রিকেটে এর প্রভাব অনেক বেশি। তবে সাদা বলের ক্রিকেটেও যাতে কোনও ভাবে এটা বোলারদের সাহায্য করতে পারে সেটা দেখা উচিত। চালু হওয়া উচিত আইপিএল থেকেই। কারণ বিভিন্ন দিক থেকে এই প্রতিযোগিতা যুগান্তকারী। দেখা যাক কী হয়।”
কোভিড অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে মানুষের থুতু থেকে সংক্রমণ ছড়াত। তা আটকাতে বলে থুতু লাগানোর নিয়ম বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২ সালে আইসিসি পাকাপাকি বলে থুতু লাগানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আইপিএল সেই নিয়ম মেনে নিয়েছিল। যদিও আইসিসির নিয়ম মানতেই হবে এমন বাধ্যবাধ্যকতা নেই আইপিএলের।
যদি এই নিষেধাজ্ঞা আইপিএলে উঠে যায়, তা হলে আইসিসিও বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে ভাবতে পারে। সম্প্রতি শামি ছাড়াও ভার্নন ফিল্যান্ডার, টিম সাউদিরা এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠার পরে শামি বলেছিলেন, “আমরা রিভার্স সুইং করার চেষ্টা করছি। কিন্তু তার জন্য বলে থুতু লাগাতে হবে। তার জন্য আইসিসির কাছে বার বার আর্জি জানাচ্ছি। রিভার্স সুইং হলে বোলারদের কাছেও অস্ত্র থাকে। কিন্তু এই অস্ত্র না থাকলে পুরনো বলে আউট করা কঠিন।”
সাউদি অবসর নিয়েছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার এক সময় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে সময় করোনা ভাইরাস ছিল, সেই সময় এই নিয়ম আনা হয়েছিল। বোলার হিসাবে আমার মনে হয় যে, একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়া উচিত। একটা দল ৩৬২ রান করে দিচ্ছে। ৩০০ রানের উপর প্রায় সব ম্যাচেই উঠছে। তাই বোলারদের জন্য কিছু তো থাকাই উচিত। যদি সেটা অল্প থুতু ব্যবহার করলে পাওয়া যায়, তা হলে সেটা করতে দেওয়া উচিত।”
সাউদিকে সমর্থন করেন ফিল্যান্ডার। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আবার থুতু ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া উচিত। বিশেষ করে এক দিনের ক্রিকেটে। এখানে ব্যাটারেরা বেশি সুবিধা পাচ্ছে। আর পাকিস্তানে যে ধরনের পিচে খেলা হচ্ছে, সেখানে তো বোলারদের জন্য প্রায় কিছু নেই।”
বৃহস্পতিবারের ‘ক্যাপ্টেন্স মিট’-এ আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তার মধ্যে দু’টি বাউন্সার, রিটায়ার্ড আউট, সুপার ওভার, ইনিংস টাইমার, ৬০-সেকেন্ড ক্লক, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার, কোমরসমান উচ্চতার ফুলটস এবং শৃঙ্খলাবিধি রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :