শিশির পড়লে বেশির ভাগ সময় টসের মাধ্যমেই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলই সুবিধাটা পায়, বোলারদের হাতে বলতে গেলে কিছুই থাকে না। আইপিএলে এই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসিআই, ‘দুই বলে’র নিয়ম চালু করেছে তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটাররা যাতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য ১১তম ওভার শেষে একটি নতুন বল ব্যবহার করতে পারবে ফিল্ডিং দল, এটাকেই মূলত ‘দুই বলে’র নিয়ম বলা হচ্ছে। অর্থাৎ দ্বিতীয় ইনিংসে এখন বোলারদের হাতেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা থাকবে। মুম্বাইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে অধিনায়কদের মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। খবর ক্রিকবাজের।
আসন্ন আইপিএল থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে, ২২ মার্চ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের আসর। ইডেন গার্ডেন্সে তাদের প্রতিপক্ষ বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফাইনালও হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মাঠে। প্লেঅফের বাকি তিনটি ম্যাচ অর্থাৎ প্রথম কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার হবে যথাক্রমে ২০, ২১ ও ২৩ মে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ইডেনে হলেও বাকি দুটি ম্যাচ হায়দরাবাদে। ৬৫ দিনব্যাপি আসরে মোট ৭৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এই আসর থেকে বিসিসিআই বলে থুতু ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। করোনা মহামারির সময় এটা নিষিদ্ধ করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির মতো এটি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও (বিসিসিআই) নিষিদ্ধ করে। বলের একপাশে শাইন করানোর জন্য বোলাররা এরপর থেকে শুধু ঘামই ব্যবহার করে আসছেন। গত আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, সতর্কতার পরও তৃতীয়বার বলে থুতু ব্যবহারের শাস্তি হিসেবে ক্রিকেটারদের বিসিসিআইকে ১০ লাখ রুপি অথবা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হতো।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের দিন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি আইসিসিকে নিয়মটি তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। ভারনন ফিলান্দার ও টিম সাউদির মতো ক্রিকেটাররা তার মতকে সমর্থন দেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :