শেষ ওভারে জয়ের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের দরকার ছিল ৬ রান। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে এমন ম্যাচ জেতা বিশেষ কঠিন নয় বলেই মনে হতে পারে। তবে সোমবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে এমন ম্যাচ জেতা যে কতটা কঠিন ছিল, সেটা বোঝা যায় পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করলেই।
আসলে দিল্লি ততক্ষণে ৯ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। অর্থাৎ, একটি উইকেট পড়া মানেই খেল খতম। এমন পরিস্থিতিতে ডাকাবুকো শট নেওয়া মোটেও সহজ কাজ ছিল না। তার উপর শেষ ওভারের শুরুতেই শাহবাজ আহমেদের মোকাবিলা করতে হয় ১১ নম্বর ব্যাটার মোহিত শর্মাকে, যিনি তখনও পর্যন্ত একটিও বল খেলেননি।
শেষ ওভারে শাহবাজের প্রথম বলেই মোহিত শর্মাকে স্টাম্প আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন লখনউ দলনায়ক ঋষভ পন্ত। ফলে দিল্লি সমর্থকদের হৃদস্পন্দর আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন মোহিত শর্মা এবং প্রাথমিকভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দিল্লি শিবির।
জিততে শেষ চার বলে ৫ রান দরকার ছিল ক্যাপিটালসের। তবে এর পরে আর সময় নষ্ট করতে রাজি ছিলেন না আশুতোষ। ব্যাট চালাতে গিয়ে তিনি আউট হলে দলের হার নিশ্চিত জেনেও ঝুঁকি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শর্মা। ১৯.৩ ওভারে শাহবাজের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দিল্লির জয় নিশ্চিত করেন আশুতোষ।
শেষ ওভারে নিছক ম্যাচের উত্তেজনায় গা ভাসিয়ে ছক্কা হাকিয়েছেন আশুতোষ এমনটা নয় মোটেও। বরং সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানান যে, তিনি পরিকল্পনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব ব্যাটারই নিজের গেম প্ল্যান স্থির করেন। আশুতোষও ব্যতিক্রমী নন। তিনি শেষ ওভারের আগেই স্থির করে ফেলেন যে, মোহিত কোনওভাবে এক রান নিয়ে তাঁকে ব্যাটিং দিতে পারলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করার চেষ্টা করবেন।
অর্থাৎ, ম্যাচ শেষ বল পর্যন্ত কোনওভাবেই টেনে নিয়ে যেতে রাজি ছিলেন না আশুতোষ। ব্যাটিং পেলেই এক বলে ম্যাচে যবনিকা টেনে দেবেন, এটাই ছিল তাঁর পরিকল্পনা।
আশুতোষ বলেন, ‘সেই সময় বিষয়টা খুব সহজ ছিল। আমি নিজেকে বলি যে, যদি ও (মোহিত) সিঙ্গল নিতে পারে, তাহলে আমি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে দেব। নিজের ক্ষমতার উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস ছিল। এমন মুহূর্তে ক্রিজে উপস্থিত থাকাটা সত্যিই উপভোগ করেছি। আমার কঠোর পরিশ্রম অবশেষে কাজে লেগেছে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :