কলকাতার পুনরাবৃত্তি হল গুয়াহাটিতে। ইডেনে রেলিং টপকে মাঠে ঢুকে এসে বিরাট কোহলির পা ছুঁয়েছিলেন এক ভক্ত। আর গুয়াহাটিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগের পা ছুঁলেন এক ফ্যান। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
তারা বলতে শুরু করেছেন, টাকা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল। পুরোটাই সাজানো ছিল বলে দাবি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। যদিও নেটিজেনদের একাংশ পালটা সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, অসমে রিয়ান সত্যিকারের ‘হিরো’। তাই ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক কিছু নেই।
আর যে ঘটনা নিয়ে এত হইচই হচ্ছে, যুক্তি ও পালটা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, সেটা দ্বাদশ ওভারের শুরুতেই ঘটেছে। কেকেআর তারকা কুইন্টন ডি`কককে বল করতে যাচ্ছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক রিয়ান। সেইসময় মাঠে ঢুকে আসেন এক ব্যক্তি। রিয়ানের পা ছুঁয়ে ফেলেন। জড়িয়ে ধরেন তাকে। ততক্ষণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিও সেখানে চলে আসেন। আর ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে চলে যান।
সেই ঘটনা নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ হাসাহাসি শুরু করেন। এক নেটিজেন বলেন, `রিয়ান পরাগের জন্য এক ফ্যান মাঠে ঢুকে পড়লেন। এত খারাপ দিন চলে এল।` অপর একজন বলেন, `ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত কিছু অর্জন করেননি রিয়ান পরাগ। কিন্তু গুটিকয়েক তথাকথিত ফ্যান তাঁকে ইতিমধ্যে ভগবান বানিয়ে ফেলেছেন। এটা পুরোটা সাজানো ঘটনা।`
কয়েকজন তো আরও এক কদম এগিয়ে গিয়ে দাবি করেন যে টাকা দিয়ে এরকম কাজ করানো হয়েছে। এক নেটিজেন বলেন, `রিয়ান পরাগ একজনকে ভাড়া করেছিলেন। মাঠে এসে তাঁর পা ছোঁয়ার জন্য ১০,০০০ টাকা দিয়েছিলেন।` অপর এক নেটিজেন বলেন, `রিয়ান পরাগের ঢাক পেটানোর জন্য পিআরের (জনসংযোগ বা প্রচার) পিছনে টাকা খরচ করা হচ্ছে।`
যদিও সেইসব দাবির সঙ্গে একমত নন অনেকেই। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে অসমের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় দলে সুযোগ পান রিয়ানই। ফলে নিজের রাজ্যে অসমকে যে ‘হিরো’ হিসেবে দেখা হবে, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে? তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘আমি জানি না যে কেন লোকে ওই ঘটনা নিয়ে হাসাহাসি করছেন বা রিয়ান পরাগকে কটাক্ষ করছেন। রিয়ানের কি কোনও ফ্যান থাকতে পারে না? এটা ওর হোমগ্রাউন্ড। আর ওঁর ফ্যান থাকতেই পারেন।’
অপর একজন বলেন, ‘অসমের মতো একটা রাজ্য থেকে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া অত সহজ নয়। রিয়ান সেটা করে দেখিয়েছেন।’ আবার এক নেটিজেন বলেন, ‘যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা জানেন না যে নিজের সংস্কৃতি, নিজের রাজ্যের লোক, নিজের পরিচিতিকে প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টা ঠিক কী।’ একইসুরে একজন বলেন, ‘লোকজন নিজেদের বেশি চালাক ভাবেন। রিয়ান অসমকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। উনি অসমের ছেলে। আর স্থানীয় মানুষ রিয়ানকে সমর্থন করছেন।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :